এ কে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেনকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট জখম করেছে ভাস্তে। 

জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে মোঃ আলমগীর হোসেন তার পৈতৃক সম্পত্তিতে পাটের বিজ রোপণ করতে গেলে বাধা প্রদান করে মেঝো ভাই ওয়াজেদ মন্ডলের ছেলে সুয়াত ও সাফায়েত (কবির)। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে আলমগীর হোসেন কে ভাই ওয়াজেদ মন্ডলের ভাবি রওশানারা বেগম ভাস্তে সুয়াত, সাফায়েত (কবির) ও তাদের স্ত্রীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করতে যায়। তখন আলমগীর হোসেনের জমি দেখাশোনা কারী মমিন শেখ ও স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে।

আলমগীর হোসেন নিরিহ প্রকৃতির। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট বড় ভাই মৃত মাজেদ মন্ডল ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তার ২ মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মেঝো ভাই ওয়াজেদ মন্ডলের তিন ছেলে। এ ছাড়া আলমগীর হোসেনের এক ছেলে এক মেয়ে ঢাকায় পড়ালেখা করে।

অভিযোগ রয়েছে ওয়াজেদ মন্ডলের তিন ছেলে থাকায় অন্য ভায়েদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে চলেছে। বিভিন্ন সময় ভয় ভিতি প্রদর্শন করে ছোট ভাই ও বড় ভাইয়ের মেয়েদের পাওনা জমি বুঝে দেয় না। জমির ভাগ চাইলেই ওয়াজেদ মন্ডল তার স্ত্রী ছেলেদের নিয়ে মৃত্যুর হুমকি দেয় সব সময় । আলমগীর হোসেন কে এর আগেও একাধিক বার মারপিটের অভিযোগ রয়েছে ওয়াজেদ মন্ডল ও ছেলেদের বিরুদ্ধে।

আহত মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, গত বুধবারে আমি আমার জমিতে পাটের বিজ রোপণ করতে যায় মমিন শেখ কে নিয়ে। আমি ওই জমি দীর্ঘদিন চাষ করে আসছি৷ হঠাৎ পাটের বিজ রোপণ করতে গেলে আমার ভাসে ও ভাই ওয়াজেদ মন্ডল বাঁধা প্রদান করে। কারণ জানতে চাইলে আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে।

আহত মোঃ আলমগীর হোসেনের বড় ভাই মৃত মাজেদ মন্ডলের মেয়ে শিক্ষক রিমু আক্তার বলেন, আমার কোন ভাই নাই বাবা মারা গেছে যার ফলে চাচা ওয়াজেদ মন্ডল আমার জমি বুঝে দেয় না। এছাড়া আমার ছোট কাকা আলমগীর হোসেন কে একাধিক বার মারপিট করেছে। তবে এবার তার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে আঘাত করেছে।

আহত মোঃ আলমগীর হোসেন এখন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

(একে/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০২২)