শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষে সাধারন সম্পাদকসহ ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেন নান্টু খান কে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কামরুজ্জজামান মজনু জানান, মাত্র কয়েকদিন পূর্বে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে তারিক আজিজ মোবারক ঢালিকে সভাপতি ও আকতার হোসেন নান্টু খানকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

শনিবার বিকেলে নুতন কমিটির নেতৃবৃন্দ একই উপজেলার কুচাইপট্টি ইউনিয়নে বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে দেখা সাক্ষাতের জন্য সেখানে যান। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে নেতৃবৃন্দ দেখা করার সংবাদ শুনে প্রতিপক্ষ সাবেক সভাপতি ডাক্তার কামাল উদ্দিন আহমেদ ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিতুলগনি মিন্টু সরদারের সমর্থকরা কুচাইপট্রি বাজারে লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়ে তাদেরকে মারার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কামাল-মিন্টু গ্রুপের সমর্থক সুলতান সরদারের নেতৃত্বে দুদু মিয়া,আমিরুল মাঝি,আমু গাজি জসিম সহ ২৫/৩০জন লোক লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেন নান্টু খান ,কামরুজ্জামান মজনু মেবারক ঢালিসহ ৫ জন আহত হয়। গুরুতর আকতার হোসেন নান্টু খান কে তাৎক্ষনিক ভাবে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়ে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

এ ব্যাপারে গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তারিক আজিজ মোবারক ঢালি বলেন, আমরা কুচাইপট্রি বিএনপির লোকজনের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছিলাম। তখন মিন্টু সরদারের সমর্থক সুলতান সরদারের নেতৃত্বে লোকজন আমাদের আক্রমন করে।

গোসাইরহাট থানার ওসি সৈয়দ মান্নান আলী মারামারির ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, কুচাইপট্টিতে বিএনপির দু গ্রুপে মারা মারি হয়েছে। তবে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।

(কেএনআই/এএস/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৪)