মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচর প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী কায়দায় জোর পূর্বক জায়গা জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে, এস্কাভেটর মেশিন দিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টাকালে জায়গার মালিকগণ বাঁধা দিলে একাধিক নারীকে মারধর করে। খবর পেয়ে চরজব্বর থানা পুলিশ ড্রেজার মেশিনের ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেমঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ব্যাগ্যা গ্রামের ১৯ নং দিঘী নামক স্থানে।

জমির মালিক দক্ষিণ ব্যাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মোনাফের পুত্র আব্দুল খালেক (৪৫), হানিফ মিয়ার স্ত্রী পারুল(৩৫), আব্দু্ল খালেকের স্ত্রী বিবি কু্লসুম (৩৫), আব্দু্ল হকের স্ত্রী মাকসুদা খাতুন (৪২), কেফায়েত এর স্ত্রী আলেয়া খাতুন, মোহাম্মাদ আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৭০), স্কুল শিক্ষিকা রহিমা খাতুন (৪২)। অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৪ সালে তারা এই জায়গায় বসবাস করছেন, বিভিন্ন সময় তারা অভিযুক্ত দখল চেষ্টাকারি একই গ্রামের ছিদ্দিক উল্যাহর পুত্র হাফেজ আহমদ এর কাছ থেকে জমিগুলো ক্রয় করেন, এর মধ্যে কিছু জমি পূর্বপুরষা ক্রয় করেছেন আর সামান্য কিছু জায়তা খাস রয়েছে। হঠাৎ করে খালটি দখল করতে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন পায়তারা করছে।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল ৮ টায় দক্ষিণ ব্যাগ্যা গ্রামের সালাম মিয়ার পুত্র নুরুজ্জামান (৫০), সিরাজ মিয়ার পুত্র হারুন, মৃত ছিদ্দিক উল্যাহর পুত্র হাফেজ আহাম্মদ(৬০), তার পুত্র শহীদুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র জাহাঙ্গীর(৩৫), রুহুল আমিনের পুত্র রহমান(৩০)সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে এসে এস্কাভেটর দিয়ে পুরো খাল এবং আমাদের দখলীয় জায়গাজমি দখল করতে আসে এতে আমরা বাঁধা দিলে অভিযুক্তরা আমাদের মারধর করে।

অভিযুক্ত হাফেজ আহাম্মদ ও নুরুজ্জামান বলেন, এটা আমাদের জায়গা আমরা সেখানে প্রজেক্ট করার জন্য এস্কাভেটর মেশিন নিলে তারা বাঁধা দেয় এবং এস্কাভেটর ড্রাইভারকে পুলিশ নিয়ে যায়।

চরজব্বর থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই, এবং স্কাভেটর ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয় পরে দুইপক্ষের কাগজপত্র নিয়ে এসে বসার জন্য বলা হয়েছে।

(এস/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২২)