সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দুর্বৃত্ত এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নাংলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ওসমান গনি জানান, তিনি পুলিশের সিপাহী পদে বর্তমানে বান্দরবনে কর্মরত। ছুটি কাটাতে এসে শুক্রবার বিকেলে তিনি তার খালাত ভাই দেবহাটা উপজেলার নাংলা গ্রামের ব্যবসায়ি আলাউদ্দিনের বাড়িতে আসেন।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় নাংলা গ্রামের আব্দার আলীর ছেলে সন্ত্রাসী ছিদ্দিকুর রহমান তার (ওসমান) খালাত ভাই আলাউদ্দিনের দোকানে গভীর নলকুপের দু’ ড্রাম পানি রেখে যায়। রাত ৯টার দিকে একটি ড্রাম না পাওয়ায় আলাউদ্দিনকে গালিগালাজ করতে থাকে ছিদ্দিক। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে জখম করা হয়। স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নাংলা গ্রামের সন্ত্রাসী গফফর ডাকাত, মোমিন গাজী ও মুজিবর রহমান বাধা দেয়। পরে তাকে স্থানীয় রানু ক্লিণিকে ডা. রফিকুল ইসলামের কাছে চিকিৎসা নিতে বাধ্য করা হয়।

ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ সদস্য ওসমান গণির পেটে ও ডান হাতের কনুইতে ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক ইউনুছ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। কিছুদিন আগে ছিদ্দিক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ পরিচয়ে একটি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। তবে ছুরিকাঘাত করার বিষয়ে উভয়পক্ষ মীমাংসা করে নেওয়ার তারা কোন ব্যবস্থান নিতে পারেননি।


(আরকে/এটি/এপ্রিল ২৬, ২০১৪)