আবুল হাশেম, রাজশাহী : রাজশাহীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক পুলিশ সদস্য প্রবীন ব্যক্তি সহ তার পরিবারের সদস্যদের জখম করা ও প্রাণনাশের চেষ্টার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

আজ শনিবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় নগরীর রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গুরুতর আহত পবা উপজেলার সবসার গ্রামের সাদরুল হোসেনের বড় ছেলে মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পবা থানার সবসার সাঁকোপাড়া জামে মসজিদে গত ১৫ এপ্রিল জুম্মার নামাজ শেষে পূর্ব রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে সুলতান আলী আমাকে উদ্দেশ্যে করে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে আমি তাকে নিষেধ করি। এরই জের ধরে ২২ এপ্রিল সাঁকোপাড়া জামে মসজিদে জুম্মার নামাজরত অবস্থায় সুলতান আমাকে উদ্দেশ্য করে আবরও রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করে। আমি বাধা দিলে উপস্থিত মুসল্লিগণ বিবাদীকে থামিয়ে

দেন। একই দিন নামাজ শেষে আমি আমার নিজ বাড়ি সবসার সাঁকোপাড়া মােড়ে এনামুলের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্রই দলবল-সহ সুলতান ও রবিউল'র হুকুমে একদল সন্ত্রাসী এলােপাথাড়ি ভাবে আমাকে কিলঘুষি, লাথি মেরে আমাকে গুরুতর আহত করে। আশে-পাশের লােকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করলে আমি বাড়িতে চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর আমার বাবা মােঃ সাদরুল হােসেন বড়গাছী হাট জামে মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়িতে আসার পথে সাঁকোপাড়া মোড়ে এনামুলের চায়ের দোকানের সামনে আসলে সুলতান ও কাওসারের নেতৃত্বে রবিউল আমার বাবাকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে এবং সুলতান তার হাতে থাকা ধারালাে চাপ্পড় দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাবার বাম চোখের উপরে কপালে সজোরে আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমার বাবা মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্যরা তাদের হাতে থাকা ধারালাে চাপাতি, লােহার বড়, হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি দিয়ে এলােপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা-ফাটা ও ছিলাফোলা জখম করে।

এসময় আমার আমার চাচা রেজাউল করিম(৪৮) আমার তাকে উদ্ধার করার জন্য আসলে মােঃ রিপন তার হাতে থাকা লােহার রড দিয়ে আমার চাচার থুতনির ডান পাশে সজোরে আঘাত করে ফাটা রক্তাক্ত জখম করে, কামরুল তার হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আমার চাচার বুকে সজোরে আঘাত করে এবং অন্যান্য সকল বিবাদীগণ এলােপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে আমার চাচাকে গুরুতর আহত করে। পরে আশেপাশের উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। আহতদের স্থানীয় লােকজন সহায়তায় চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ঘটনার দিন রাতে পবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছে, মামলা গ্রহন করা হবে ; আসামী গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

(এএইচ/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০২২)