স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জনগণ ও জামায়াতে ইসলামীর নামে মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিসাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।

জিসাসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্মননা ও জিয়া স্বর্ণ পদক-২০১৪’ প্রদান এবং ‘বর্তমান পেক্ষাপটে দেশ প্রেমিক জনগণের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিসাসের সভাপতি আবু হাশেম রানা। আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপি সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, বিএনপি নেতা সাইফুল প্রমুখ।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত ৫ জানুয়ারি অবৈধ ও জোরজবরদস্তি নির্বাচনের বিরুদ্ধে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শেখ হাসিনা এখন জোর করে ক্ষমতায় আছেন। কিন্তু বিদেশের মাটিতে তিনি জনগণ সম্পর্কে মিথ্যাচার করছেন। এমনকি জামায়াত ইসলামীকে সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করেছেন। আমি তার এ মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানায়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল না বরং গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগই একটা সন্ত্রাসী দল। তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকার জন্য শুধু দেশে নয় বিদেশেও মিথ্যাচার করে বেরাচ্ছে।

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। ফলে মানুষ তার মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। তারা জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাই। স্বাধীনতার পরেও তারা জোরকরে বাকশাল কয়েম করেছিল। এখনও তারা সেটাই করতে চাচ্ছে। এজন্য তারা বিরোধী নেতাদের হত্যা, গুম এবং তাদের নামে মামলা করছে।

ফখরুল বলেন, এ অবৈধ সরকার যতই নির্যাতন করুক মানুষ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মানুষ তার মৌলিক অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। যার মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।

মির্জা ফখরুল হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচার শাসক টিকে থাকতে পারেনি। এ সরকারও পারবে না। তাই সাংস্কৃতির মাধ্যমে সারা দেশে বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৪)