কলাপাড়া প্রতিনিধি : সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের নির্দেশের ২৪ ঘন্টার মধ্যে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ও বাদুরতলী খালের মধ্যে নির্মিত অবৈধ বাঁধ, ঘর ও স্লুইজ অপসারন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ভূমি কর্মকর্তা আল কাইয়ুম, টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে শতশত মানুষ নিজ উদ্যোগে খালের এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অংশ নেয়।

সিকদারবাড়ি কালভার্টের নিচ থেকে বাঁধ অপসারনের মাধ্যমে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে পাঁচটি বাঁধ কেটে দেয়া হয়।

গত ছয় বছর ধরে মাছ চাষের নামে বাদুরতলী খালে একাধিক বাঁধ দিয়ে লবন পানি উত্তোলন করে কৃষকসহ এলাকাবাসীর সর্বনাশ করছিলো। খালের পানি ব্যবহারে মানুষদের বাঁধা দিতো। এ কারনে বিক্ষুদ্ধ কৃষক ও গ্রামবাসীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করলে বুধবার দুপুরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ বাঁধ অপসারনের নির্দেশ দেন ইউএনওকে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা বলেন, দীর্ঘ বছর পর এ খালের বাঁধ কেটে দেয়ায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছে। এ বাঁধের কৃষকরা চাষাবাদে মিঠা পানি ব্যবহার করতে পারতো না। খালের পানি ব্যবহার করতে পারতো খালের দুই পাশের বাসিন্দারা। বাঁধ কেটে দেয়ায় গ্রামবাসীরা সংসদ সদস্যসহ পটুয়াখালী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

খেপুপাড়া ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী ( ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. আল কাইয়ুম বলেন, জেলা প্রশাসক ও ইউএনও স্যারের নির্দেশে আজ বাদুরতলী খালের সকল বাঁধ ও স্থাপনা অপসারণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে কলাপাড়ার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জলাধার অবমুক্ত করা হবে।

(এমকে/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০২২)