উল্লাপাড়া প্রতিনিধি : মোঃ নজরুল ইসলাম ও শ্রী দেবেশ চন্দ্র সান্যাল মহান মুক্তিযোদ্ধের রনাঙ্গনের সহযোদ্ধা। মোঃ নজরুল ইসলামের বাড়ি  সিরাজগঞ্জ জেলার শাহ্জাদপুর উপজেলার চর-কাদাই গ্রামে। আর দেবেশ চন্দ্র সান্যালের বাড়ী একই উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নাধীন রতনকান্দি গ্রামে। নজরুল ও দেবেশ পরস্পর রনাঙ্গনের সাথী। তাঁরা দুইজনই মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহবানে জীবনপন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। তাঁরা দুইজনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ।

রনাঙ্গনে দুজনই এক থালায় এক সাথে খাবার খেয়েছেন। একই রুমে বসে নজরুল নামায পড়েছেন আর দেবেশ সনাতন ধর্ম মতে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন। এক সাথে দুজন অস্ত্র জমা দিয়ে যার যার মত সংসারে ফিরে এসেছেন। কিন্তু তাঁরা দুজন একজন আর এক জনের আপন ভাইয়ের মত। সব সময় ঈদে বা অন্যান্য ধর্মীয় যে কোন অনুষ্ঠানে নজরুলের বাড়িতে দাওয়াত পেয়ে থাকেন দেবেশ।

সারা জীবন নজরুলের বাড়ির কোন অনুষ্ঠানে দেবেশ অনুপস্থিত থাকেন নাই। আবার দেবেশের বাড়িতে পূজা অর্চ্চনা বা অন্য কোন পারিবারিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রন হয় নজরুলের। দেবেশের বাড়ির কোন অনুষ্ঠানেই নজরুল অনুপস্থিত থাকেন নাই। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধিরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে এদেশে পাকিস্তানী চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংবিধান কেটে রক্তাক্ত করেছে।

এদেশের শান্তিশৃংখলা নষ্ট করার জন্য বিদেশী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা এনে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে দিয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশে পাকিস্তানী চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। জাতির পিতার আদর্শের যোদ্ধা জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। তাই তারা দুজন এদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রাহনের আবেদন জানিয়েছেন।

(ডিএস/এসপি/মে ০১, ২০২২)