স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তির বাছাই প্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটিপূর্ণ— চট করে এমন প্রশ্ন তোলাটা সমীচীন হয়নি। ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা যথেষ্ট স্বচ্ছ এবং ত্রুটিমুক্ত।’

ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগে মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রবিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও এইচএসসিতে ৮০ ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঘণ্টার ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে যেটা কোনো পরীক্ষাই না। ভর্তিতে বাছাই প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ, এ জন্য শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে।’

‘এ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হেস্তনেস্ত করা হয়েছে দাবি করে নাহিদ আরও বলেন, এর মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে হেয় করা হয়েছে। ছেলেমেয়েদের সর্বনাশ, হতাশাগ্রস্ত, নিরুৎসাহিত এবং বিদেশে তাদের অগ্রহণযোগ্য করার জন্য ওই ধরনের বাছাই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে ঢাবি উপাচার্য রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটিপূর্ণ, চট করে প্রশ্ন তোলাটা শিক্ষামন্ত্রীর সমীচীন হয়নি। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ফল এবং ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল— উভয়ের ভিত্তিতেই মেধাক্রম তৈরি করা হয়।’

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ— এমন মন্তব্য করা হলে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে উপাচার্য আরও বলেন, ‘একজনের মতামত ব্যক্ত করার স্বাধীনতা আছে। তবে তিনি যদি ভুলত্রুটিগুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দেন তাহলে আমাদের সুবিধা হবে।’

(ওএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৪)