সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমাণ্ডের সদস্য আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে আর্থিক সুবিধা নিয়ে পাঁচজন সুবিধাভোগী মানুষকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে।

মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনকারি কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্বনলতা গ্রামের পানাউল্লাহ গাজীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেফাতুল্লাহ, নলতা গ্রামের আবু মুছা পাড়ের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বক্কর আলীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল ইসলাম জানান, তারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

বহু ত্যাগের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা আসে। অনেকে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও বা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেও মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। অথচ পূর্ব নলতা গ্রামের তকিম সরদারের ছেলে আবুল হোসেন আর্থিক সুবিধা নিয়ে তার গ্রামের মেহের আলী বিশ্বাসের ছেলে মুনসুর বিশ্বাস, একই গ্রামের মন্তেজ সরদারের ছেলে কাশেম আলী সরদার, নলতা গ্রামের আব্দুল করিম ম-লের ছেলে ইসরাইল হোসেন, ইন্দ্রনগরের মাদার বিশ্বাসের ছেলে আনছার আলী বিশ্বাস ও পাইকাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস সাত্তারসহ কয়েকজনকে উপজেলার বর্তমান মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তি করেছেন।

এমনকি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও আনছার আলী তালিকাভুত্ত হয়ে কয়েক মাসের ভাতা উত্তোলন করেছেন। আবেদনপত্রে যথাযথ তদন্ত করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দোষী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। বর্তমানে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমা-ার হিসেবে আহবায়কের দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মদ। সেক্ষেত্রে তার পক্ষে একা দূর্ণীতি করে যে কোন লোককে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তি সম্ভব নয়। (আর /এলএস/এপ্্িরল ২৬/২০১৪)