ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসীদের দাওয়াত পত্র দিয়ে রীতিমত আমন্ত্রণ জানিয়ে দুপুরে গোস্ত-ভাত খাইয়েছেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গত মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাটে এ আয়োজনে যোগ দেন আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত দুই শতাধিক মানুষ। এসময় এলাকা জুড়ে আনন্দের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে খাওয়ার পর ছোট্র পরিসরে খেলাধুলায় মেতে উঠেন প্রকল্পের শিশু-কিশোররা। দিনভর হই- হুল্লোড় ও আনন্দ উল্লাসে দিন কাটান তারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, সামাজিক সংগঠন ঈশ্বরদীয়ান গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবীরা আমাদের চিঠি দিয়ে দাওয়াত দিয়েছে এতে আমরা খুব খুশি হয়েছি। এর আগে আমাদেরকে এমনভাবে কেউ কোন দিন চিঠি দিয়ে দাওয়াত দেয়নি। খাওয়ার আয়োজনও ছিল বেশ ভাল। ভাত, গোস্ত, ডিম, ডাল ও মিষ্টি আমরা পেটভরে খেয়েছি। আমাদের শিশুরা খেলাধুলা করেছে। আমরা খুব আনন্দ পেয়েছি। এই দিনটি আমাদের কাছে ঈদের দিনের মতোই আনন্দের ছিল।

ঈশ্বরদীয়ান গ্রুপের মুখপাত্র শাহরিয়ার অমিত জানান, ঈদ পরের দিন পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাটে ঘুরতে গিয়ে ঘাটের পাশেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনারা ঈদে কি কি খেলেন। অধিকাংশ মানুষই বলেছেন, সেমাই, খিচুরি আর পোল্ট্রি মুরগীর গোস্ত। গরু ও খাসীর গোস্তের দাম বেশি তাই কিনতে পারেনি। সেদিনই মনস্থির করেছিলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসীদের একবেলা পেট ভরে গোস্ত-ভাত খাওয়াবো। এত মানুষের খাওয়ার আয়োজন আমাদের জন্য সহজ ছিল না। ঈশ্বরদীর দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা ও কয়েকজন বিত্তবান মানুষ মানবিক সহযোগিতা করেছেন। তাদের সহযোগিতায় আমরা এই দরিদ্র মানুষগুলোকে এক বেলা পেট ভরে গোস্ত-ভাত খাওয়াতে পেরেছি।

গ্রুপের আরেক সংগঠক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জয় বলেন, ১৫০ জনকে আমরা পত্র দিয়ে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। শিশু-কিশোরসহ প্রায় দু’শতাধিক মানুষ আমন্ত্রণে এসেছিলেন। সবার সহযোগিতায় আমরা দরিদ্র মানুষদের পেট ভরে গোস্ত ভাত খাওয়াতে পেরেছি এটিই আমাদের বড় প্রাপ্তি।

(এসকেকে/এসপি/মে ১১, ২০২২)