রিপন মারমা, রাঙামাটি : রাঙামাটি কাপ্তাই চিৎমরম ইউনিয়ন জামাই ছড়ি কর্ণফুলী নদীর ঘাঁটে নিখোঁজের ১৫ ঘন্টা পর অপূর্ব সাহার মৃত দেহটি কর্ণফুলি নদী থেকে উদ্ধার করেছে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা। 

বুধবার (১১ মে) ৬ জন পর্যটক এরা সকলে চট্রগ্রাম পূর্ব মাদার বাড়ি থেকে ধীমান সাহা, সাইমন, তৌহিদুল ইসলাম মাহিন, রাসেল দেব, লোকেশ বৈদ্য, অপূর্ব সাহা তারা কাপ্তাই বেড়াতে আসার উদ্দেশ্যে চন্দ্রঘোনা ফেরী ঘাট এলাকা থেকে নৌকা ভাড়া করে কর্ণফুলী নদীতে নৌকা যোগে পানি পথে কাপ্তাইতে বেড়াতে আসে। এক পর্যায়ের বিকেল সাড়ে তিন ঘটিকার সময় রাম পাহাড় বিটে অপর প্রান্তে জামাই ছড়ি এলাকায় নামক স্থানে নদীতে গোসল করতে নামে। এর পরবর্তিতে পানিতে ডুবার ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে ৪ জন পানিতে তলিয়ে যায়, তলিয়ে গেলে অপর সংঙ্গীরা ৯৯৯ ফোন করলে তাৎক্ষণিক কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স ঘটনা স্থলে পৌছে ২ জন'কে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ১ জন সুষ্ঠ থাকলেও অপর আরেকজন মুহুর্ষ অবস্থা ফায়ার সার্ভিস কর্মী দল তাৎক্ষণিক ভাবে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে হাসপাতালে নিলে কর্তব্য চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে প্রানে বাঁচান। তবে তাদের সংঙ্গীয় অপর দুইজন পানিতে ডুবিয়ে নিখোঁজ ছিল। এর পর কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা যৌথ উদ্যোগে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়জুল ইসলাম মন্ডল এর নেতৃত্বে ৮ সদস্যের কাপ্তাই নৌ বাহিনী ডুবুরি দলের কর্মীরা বিকেল সাড়ে ৫ টা সময় নিখোঁজ লোকেশ বৈদ্য (১৯) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেন।

এদিকে, ঘটনা খবর পাওয়া সাথে সাথে কাপ্তাই সার্কেল অফিসার রওশন আরা রব, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীর জাহান, কাপ্তাই থানা ওসি জসিম উদ্দিন, চন্দ্রঘোনা থানা ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেন। উদ্ধারকৃত অপূর্ব সাহা (২২) চট্টগ্রাম মহানগর মাদারবাড়ী এলাকার মৃত অরুপ সাহার ছেলে।

কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব এর উপস্থিতিতে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ মৃত লোকেশ বৈদ্যের লাশ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে মুঠো ফোন করা হলে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নিহত অপূর্ব সাহার পরিবারের পক্ষ হতে কোন রকম আপত্তি না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে তাঁর লাশটি তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/মে ১২, ২০২২)