ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলামের সংশ্লিষ্ঠতা ও অশোভন আচরণের অভিযোগের বিষয়ে গঠিত তদন্ত রিপোর্ট বৃহস্পতিবার (১২ মে) জমা হয়নি।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের নির্দেশে বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলামকে রোববার (৮ মে) দায়িত্বে পুনর্বহাল করে এই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রিপোর্ট দাখিলের সময়সীমা প্রথমত: তিন দিন নির্ধারণ করা হলেও পরে আরও দুই দিন বাড়িয়ে পাঁচ দিন করা হয়। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট দাখিলের শেষ দিন থাকলেও ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম বিভাগীয় কার্যালয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে তদন্ত কমিটি হাতে হাতে রিপোর্ট দাখিল করতে পারেননি।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাবু জানান, তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ডিআরএম স্যার ঢাকায় রেল ভবনে যমুনা সেতুতে রেল লিংক সংক্রান্ত মিটিংয়ে রয়েছেন। স্যারই এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। সরাসরি স্যারের হাতেই রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। ফোনে কথা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে হাতে হাতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। রিপোর্টের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ছাড়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টের বিষয়ে কমিটির কোন বক্তব্য প্রকাশের নিয়ম নেই।

ঈশ্বরদী রেল জংশন হতে ৫ মে রাতে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকেট ছাড়া এসি কেবিনে উঠে বসেন রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয় তিন যাত্রী। রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম জরিমানাসহ তাদের টিকিট বানিয়ে দিয়ে রোষানলে পড়েন। তিন যাত্রীর মধ্যে ইমরুল কায়েস প্রান্ত টিটিই;র বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অশোভন আচরণের অভিযোগ দেন। ওই ট্রেনে ডিউটিরত অবস্থায় পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ মে রেলমন্ত্রীর নির্দেশে টিটিই শফিকুলের বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। টিটিই শফিকুল নিয়মমাফিক এখন ট্রেনে দায়িত্ব পালন করছেন।

(ওএস/এসপি/মে ১২, ২০২২)