রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : কোচিং না করায় ও পরীক্ষায় পাশ করতে অবৈধ সূযোগের জন্য টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায়  এক শিক্ষার্থীকে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  নির্যাতিত ছাত্র  সালমান হোসেনের বাবা মোঃ হানিফ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় খণ্ডকালিন শিক্ষক স্ঈাদী হাসান, ছাত্র রানা, আব্দুর রশিদ ও নাহিদ হাসানকে আসামী করা হয়েছে।

এদিকে সালমান হাসান এর উপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে আইএইচটির শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের সামনে কালিগঞ্জ - সাতক্ষীরা সড়কে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে।

ছাত্র সমাজের ব্যানারে রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, নির্যাতিতের বাবা মোঃ হানিফ, জুবায়ের হোসেন শাকিল, রিপন হোসেন, পাভেল, ফয়সাল হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আইএইচটি’র খণ্ডকালিন শিক্ষক হয়ে সাঈদী হাসান কোচিং করতে বাধ্য করতে বাধ্য করেছেন অনেক শিক্ষার্থীকে। কোচিং না করায় সালমানকে গত বছর রেডিওলোজি বিভাগের মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এ ছাড়া অনেতিক উপায়ে পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সাঈদার হাসান বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে মাথা পিছু ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। এ সমব কাজে তিনি রানা, রশিদ ও নাহিদকে ব্যবহার করে যাচ্ছেন। সাঈদার হাসানের নির্দেশনা অনুযায়ি বৃহষ্পতিবার রাতে নাহিদ হাসানের কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যে হাত ও পা বেঁধে সালমানকে লেঅহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কার করতে হবে। সালমানকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, সালমানের উপর নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা মোঃ হানিফ বাদি হয়ে শিক্ষক সাঈদার হাসান ও তিন ছাত্রের নাম উল্লেখ করে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(আরকে/এসপি/মে ১৫, ২০২২)