রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : দুই শিশুর বিরুদ্ধে  আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষনচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নের হাওয়ালখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগে আটক করা হয়েছে ১২ ও ১১ বছরের দুটি শিশু ও তাদের মাকে।

মেয়েটির বাবা হাওয়ালখালি গ্রামের এক দিন মজুরের দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিত অধিকারী জানান, শনিবার বিকালে তাদের বাড়ির পাশেই ধর্ষনচেষ্টার এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত শিশু আকিব (১২) ও তার চাচাতো ভাই রফিকুল (১১) এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ মেয়েটির বাবার দায়ের করা মামলা অনুযায়ী ওই দুই শিশুকে এবং আকিবের মা রওশন আরাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে আকিবের বাবা মোঃ টুটুল জানান, তাদের সাথে মেয়েটির পরিবারের জমিজমা সহ নানা বিষয়ে ঝগড়াঝাটি লেগেই আছে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার ছেলে, ভাতিজা ও স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে থানায় মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে হাওয়ালখালি গ্রামের ইউপি সদস্য রিপন জানান, একটি ধর্ষনচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে তিনিও শুনেছেন।
পুলিশ পরিদর্শক আরও বলেন, ধর্ষনচেষ্টা হওয়ায় মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়নি। তবে অভিযুক্ত দু’ শিশুকে সাতক্ষীরার শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আসাদুজ্জামান জানান, সাতক্ষীরা বিচারিক আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিন জামিন আবেদন শুনানী শেষে রওশান আরাকে আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সাতক্ষীরার শিশু ও কিশোর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এমজি আযম রবিবার বিকেলে শুনানী শেষে দু’ শিশুকে যশোরের সেভ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মেয়েটির নাম- লাকি খাতুন, বাবার নাম মোকলেছুর রহমান। গ্রাম- হাওয়ালখালি, থানা ও জেলা- সাতক্ষীরা।

(আরকে/এসপি/মে ১৫, ২০২২)