বিনোদন ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হেলথ ফর অল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (এইচএএফএফ) বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর পটভূমিতে গল্প তুলে ধরায় সাতটি শর্ট ফিল্ম এবং ছয়টি ফিল্মের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ মে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে ‘প্রি-এক্লাম্পসিয়া: প্রেডিক্ট আর্লিয়ার, প্রিভেন্ট আর্লিয়ার’ নামক ইন্দোনেশিয়ান শর্ট ফিল্মকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজয়ী অন্য শর্ট ফিল্মগুলো হলো- যুক্তরাজ্যের ইন্টেনসিভ, ভারতের ইউফোরিক, ইটালির সিম-ফাটিয়া, ভারতের ফর এভরি গার্ল এ ফরেস্ট, সিয়ারা লিওনের ইম্প্রুভিং লাইভস অ্যান থ্রি-ডায়মেনসনস: থ্রিডি প্রিন্টেড প্রোস্থেসিস এবং কেনিয়ার গ্ল্যামিং মাই উন্ডস। এছাড়াও জুরিদের মতামতের ভিত্তিতে আরও ছয়টি শর্ট ফিল্মকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, বিশ্বের ১১০টির বেশি দেশের এক হাজারটির বেশি চলচ্চিত্র নির্মাতারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘হেলথ ফর অল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’র তৃতীয় সংস্করণের জন্য শর্ট ফিল্ম জমা দিয়েছিল। যেখানে যুদ্ধের মানসিক চাপ থেকে শুরু করে মহামারি করোনার সঙ্গে জীবনযাপন, নারী ও শিশু স্বাস্থ্যসহ নানা দিক উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য তথ্যের সঙ্গে শক্তিশালী গল্প বলার সংমিশ্রণে এ শর্ট ফিল্মগুলি বিশ্বের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জগুলোর বিশাল পরিসরকে তুলে ধরেছে। গত তিন বছরে তিন হাজার ৫০০টি শর্ট ফিল্ম জমা পড়েছে। হেলথ ফর অল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল দেখিয়েছে, শর্ট ফিল্মগুলো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ও জনগণকে সচেতন করতে ভালো ভূমিকা পালন করে।

বিষয়টিতে জুরি বোর্ডের সদস্য গোল্ডেন গ্লোব ও এমি জয়ী অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন বলেন, এ কর্মসূচির অংশ হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এটি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে আরও ভালো সচেতনতা তৈরি করবে। এ ডকুমেন্টারিগুলো, যেগুলো আমরা দেখেছি সবগুলোই ছিল চমৎকার। নির্বাচিত গল্পগুলো আমাদের সঙ্গে সুস্বাস্থ্যের অন্তর্নিহিত মূল্য ও প্রাপ্রতা সম্পর্কে কথা বলে এবং তারা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার পক্ষে কথা বলে। সার্বজনীন স্বাস্থ্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানবিক অধিকার।

সাধারণ দর্শকরা নির্বাচিত ৭০টি শর্ট ফিল্ম ছয়টি ক্যাটাগরিতে অনলাইনে দেখতে পারবেন। ‘গ্র্যান্ড প্রিক্স’ এট্রিবিউটের মাধ্যমে দর্শকরা প্রধান তিনটি ক্যাটাগরির ফিল্মগুলো দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

(ওএস/এএস/মে ১৬, ২০২২)