স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম সেশনে আউট ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডাররা আবেদনই না করায় বেঁচে যান লঙ্কান সেঞ্চুরিয়ান। দ্বিতীয় সেশনে সহজ ক্যাচ দিলেন বিশ্ব ফার্নান্দো। কিন্তু সেটি ফসকে গেলো মুশফিকুর রহিমের হাত। জীবন পেয়ে যান টেইলএন্ডার বিশ্ব।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে একবার করে বেঁচে যাওয়া এ দুজনই এখন প্রচণ্ড রোদের সঙ্গে হতাশায়ও পোড়াচ্ছেন স্বাগতিক দলকে। দ্বিতীয় সেশনে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২৩.৩ ওভারে ৪৭ রান যোগ করেছেন বিশ্ব ও ম্যাথিউজ।

চা পানের বিরতি পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩৭৫ রান। প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও ঠিক ২ উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা, ২৪ ওভারে করেছে ৪৮ রান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ১৭৮ রানে খেলছেন ম্যাথিউজ।

মাত্র ২০ বলের মধ্যে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের দ্রুত অলআউটের যে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন নাইম হাসান ও সাকিব আল হাসান, সেটি পুরোপুরি উবে গেছে বিশ্ব-ম্যাথিউজের জুটিতে। তবু সাকিবের বলে এসেছিল সুযোগ। কিন্তু মিড অনে সেটি ফেলে দেন মুশফিক।

অথচ দ্বিতীয় সেশনের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। মধ্যাহ্ন বিরতির পর নেমে সাকিব প্রথম ওভারেই তুলে নেন জোড়া উইকেট। খাটো লেন্থের বলে পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন রমেশ মেন্ডিস। ঠিক পরের বলে লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ফিরে গেলে ৮ উইকেটে ৩২৮ রানের দলে পরিণত হয় লঙ্কানরা।

দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও তা করতে পারেননি সাকিব। এরপর সেশনের বাকি সময়ে আর উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। উইকেটের আশায় চায়নাম্যানের মতোও কয়েকটি ডেলিভারি করেন সাকিব। কিন্তু মেলেনি সফলতা।

টুকটুক করে ধীরেসুস্থে দলীয় সংগ্রহ এগিয়ে নিতে থাকেন বিশ্ব ও ম্যাথিউজ। লেজের সারির ব্যাটার বিশ্বকে ফাঁদে ফেলার জন্য বারবার শর্ট বল করেও সফল হননি দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। উল্টো ব্যাটের বাইরের কানা দিয়ে দুইটি বাউন্ডারি পেয়ে যান বিশ্ব।

সেশন শেষ হওয়ার ঠিক আগে দিয়ে খানিক অধৈর্য্যই হয়ে যান বিশ্ব। বড় শট খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ের গড়বড়ে ক্যাচ তুলে দেন মিড অনে। কিন্তু হাতের লোপ্পা ক্যাচটিও ধরে রাখতে পারেননি মুশফিক। ফলে বেঁচে যান বিশ্ব।

বিরতির আগপর্যন্ত ৭৭ বল খেলে ১৭ রান করেছেন বিশ্ব। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস খেলতে থাকা ম্যাথিউজের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫৩ বলে ১৭৮ রান। তিনি নিজের ইনিংস সাজিয়েছেন ১৮ চার ও ১ ছয়ের মারে।

আগের দিন করা ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে খেলতে আজকের সকালের শুরুটা দারুণ করেছিলেন দিনেশ চান্দিমাল ও ম্যাথিউজ। দুজনের জুটিতে তিনশ পেরিয়ে বড় সংগ্রহের আশাই দেখছিল শ্রীলঙ্কা। তবে একই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান নাইম হাসান।

দারুণ খেলে সেঞ্চুরির আশা জাগালেও ৬৬ রানে থেমেছেন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়া চান্দিমাল। লেট কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন ৩ রান করা ডিকভেলা। একই ওভারে দুজনকে ফিরিয়েছেন নাইম।

ম্যাথিউজও ফিরতে পারতেন দিনের চতুর্থ ওভারে। খালেদের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে মিস করেন তিনি। বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। কিন্তু আবেদন করেননি বোলার-ফিল্ডাররা। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে হালকা ছোঁয়া লেগেছিল সেটি। কিন্তু আবেদন না করায় ১১৯ রানের মাথায় বেঁচে যান ম্যাথিউজ।

(ওএস/এসপি/মে ১৬, ২০২২)