গোয়ালন্দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতাংশ জমি দিলেন মোস্তফা মুন্সি
এম এ হীরা, গোয়ালন্দ : স্কুল হলো এমন একটি জায়গা যেখানে থেকে আমরা প্রতিনিয়ত জ্ঞান অর্জন করি। ফলে বিদ্যালয়কে মসজিদ ও মন্দিরের সাথে তুলনা করা হয়। আমরা সকলেই জানি, শিক্ষা সকলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে দেশে এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে স্কুলের অভাবে শিশুরা ঠিকমতো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ করা হলেও নানান কারণে তা হয়তো বন্ধ হয়ে থাকে নয়তো কার্যকর করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এমনিভাবেই গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়ন এলাকায় বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে। গোয়ালন্দ উপজেলা একটি নদী ভাঙ্গন এলাকা। দেবগ্রাম এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নদীগর্ভে তিনবার চলে গেছে।নদীগর্ভে বিদ্যালয়টি যাওয়ার কারণে বিদ্যালয় এর নির্দিষ্ট কোনো জমি ছিল না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দেবগ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রের জায়গায় একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছিল। সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বার বার ভবনের কাজ এসে ফিরে যাচ্ছিল জায়গার অভাবে। এই সময়ে বিদ্যালয়ের প্রতি সুদৃষ্টি পড়েছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তফা মুন্সির।
তবে পৃথিবীতে যে ভালো মানুষের অভাব নেই, তারই প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি মোস্তফা মুন্সির মানবিক সদিচ্ছায় জমি দান কাজে । তাঁর মূল্যবান ৩৩ শতাংশ জমি বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানকে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে এলাকার শিশুরা উন্নত শিক্ষা লাভ করতে পারে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, জমির অভাবে বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ হচ্ছিল না। এ সময়ে বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতাংশ জমি দান করলেন উপজেলা পরিষদের মানবিক চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি। আমরা এতে অনেক আনন্দিত।
বাঘাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষার কথা চিন্তা করে মোস্তফা মুন্সি ৩৩ শতাংশ জমি দিয়েছেন আমরা অনেক আনন্দিত।
মোস্তফা মুন্সি জানান, আমার উপজেলায় শিক্ষার্থীরাও উন্নত বিদ্যালয় পড়বে এটাই আমার কামনা। আমার দায়িত্বের জায়গা থেকেই জমি দিয়েছি।
(এমএএইচ/এএস/মে ১৮,২০২২)