স্টাফ রিপোর্টার : সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে দেশের ভোজ্যতেল আমদানিকারক ৮ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। বুধবার (১৮) এ মামলার শুনানিতে চার কোম্পানির প্রতিনিধি অংশ নেন। পৃথকভাবে চার কোম্পানির সঙ্গে কমিশনের শুনানি হয়। এ শুনানিতে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর কাছে সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। তবে কমিশনের প্রশ্নের জবাব দিতে কোম্পানিগুলো আরও সময় চায়। পরে কমিশন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করে।

নতুন ধার্য দিন অনুযায়ী, আগামী ২২ জুন শুনানির জবাব দিতে প্রতিযোগিতা কমিশনে আসবে বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা), মেঘনা গ্রুপের ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ)। ২৭ জুন শুনানির জন্য সময় চেয়েছে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর) ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা)।

সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডের (তীর) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী তফসিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশে বলা হয়েছিল, কমিশনের আইনের ১৫ ধরা লঙ্ঘিত হয়েছে। কমিশনের করা অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে তারা আমাদের কমিশনে শুনানিতে আসতে বলেছিলেন। আমরা আজ হাজির হয়ে একটি দরখাস্ত দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘কমিশন যে প্রতিবেদন করেছে, সেই প্রতিবেদন চেয়েছি আমরা। প্রতিবেদন পেলে জবাব দাখিল করবো। শুনানি বোর্ড দরখাস্ত মঞ্জুর করে ২৭ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন। কমিশন মামলায় যে অভিযোগ এনেছে, সেই অভিযোগের জবাব দেবো আমরা। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন, তাই এ বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না।’

এদিকে, আগামীকাল (১৯ মে) প্রতিযোগিতা কমিশনের শুনানিতে অংশ নেবে মামলায় থাকা অন্য চারটি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো- শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।

এর আগে ভোজ্যতেলের ব্যবসায় কারসাজি ঠেকাতে প্রতিযোগিতা কমিশনের গঠিত অনুসন্ধান দল বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডসহ কয়েকটি ভোজ্যতেল কোম্পানির গুদাম ও শোধনাগারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল। এরপর আমদানিকারক আট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিযোগিতা কমিশন। সেবা সীমিতকরণ বা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে স্বপ্রণোদিত হয়ে এ মামলা করে সংস্থাটি।

ওই আট প্রতিষ্ঠান হলো—সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড (তীর), বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড (রূপচাঁদা), মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড (ফ্রেশ), বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি মিল (বসুন্ধরা), শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পুষ্টি), এস আলম সুপার এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেড (এস আলম), প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড (প্রাইম) ও গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড (রয়্যাল শেফ)।

(ওএস/এসপি/মে ১৮, ২০২২)