স্টাফ রিপোর্টার : পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব গণবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আয়োজিত বিদ্যুতের দামের ওপর শুনানি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শুনানিতে বক্তব্য রাখার জন্য মহিউদ্দিন আহমেদ বিইআরসিতে আবেদন করলেও তাকে ডাকা হয়নি। পরে শুনানির শেষ পর্যায়ে তিনি উচ্চ স্বরে বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়নি কেন। এটা একটা ষড়যন্ত্র।’ পরে বিইআরসির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয় ও তাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া হয়।

এ সময় মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ প্রস্তাব গণবিরোধী, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি গণশুনানিতে সাধারণ নাগরিক সমাজের পক্ষে যেন বক্তব্য এবং মতামত না দেওয়া হয়, তার জন্য মহিউদ্দিন আহমেদের নাম ঘোষণা করতে গড়িমসি করে কমিশন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এখানে এসে দেখছি শুধু জনসাধারণ মিতব্যয়ী হবে। আর সরকারি বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তা পরিহার করে ভুল সিদ্ধান্তে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অলাভজনক প্রকল্প নিয়ে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে ব্যস্ত।

সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বলেন, কাগজের কলমে বলা হচ্ছে প্রতিদিন দেশে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। অথচ চাহিদা রয়েছে মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট। আমরা যদি অতিরিক্ত ১০ হাজার নেটওয়ার্ক সক্ষমতা থেকে সরে আসি বা ভারত থেকে আমদানিকৃত উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ থেকে দূরে সরে আসি, তাহলে আমাদের একদিকে যেমন সাশ্রয়ী হবে, অন্যদিকে বেসরকারি খাতের উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ ক্রয় করা থেকে সাধারণ নাগরিকরা পরিত্রাণ পাবে।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বেসরকারি পর্যায়ের বিদ্যুৎ বিদেশ থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের মূল্য কে নির্ধারণ করে? আগে উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি এনার্জি রেগুলেটর কমিশনের লাইসেন্স প্রাপ্ত হওয়া উচিত। তা না হলে ন্যায্যতা বা ন্যায় সঙ্গত মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব না।

(ওএস/এএস/মে ১৯,২০২২)