মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বিক্রীর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও এক অন্ধ প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করে বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী ছালাহ উদ্দিন । 

গতকাল বুধবার রাত ১০ টায় ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের সেলিম ব্যারাক সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে।

মৃত ফকির আহাম্মদ এর পুত্র ভুক্তভোগী দৃষ্টি (অন্ধ) প্রতিবন্ধী মোঃ ছালা উদ্দিন (৪১) বলেন, বাড়ী ঘর নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার পর ৪ ছেলে মেয়েসহ স্বপরিবারকে নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে ৩/৪ মাস আগে তিনি সেলিম ব্যারাক আসেন। চর মজিদ গ্রামের ফজল হকের পুত্র সেলিম ব্যারাকের বাসিন্ধা আবুল কালাম (৩৫) তার দখলীয় ব্যারাকের ৬ নং দিঘীর ৭নং ঘরের ১/২ নং রুমসহ পাশের খামারের অংশ সহ মোট ১৬ ডিসিমেল জায়গা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় ছাপ কবলা বিক্রির প্রস্তাব দেন। দরদাম করে ২ টি রুম ১ লাখ ৩৫ টাকায় বিক্রীর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক গেলো রমজান মাসের আগে আবুল কালাম কে ৯৫ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিলে তিনি ২টা রুম বুঝিয়ে দেন বাকি টাকার জন্য তিনি স্ট্যাম্প এবং ছাপ কবলা দলীল বুঝিয়ে দেন নি। রমজানের ঈদের ১৫ দিন পর বাকি ৩৫ হাজার টাকা দিলে আবুল কালাম ঘরের কাগজ পত্র বুঝিয়ে দেয়ার আস্বাস দেন।

রমজানে ভিক্ষাবৃত্তি করে চুক্তিমোতাবেক গতকাল বুধবার ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে আবুল কালামকে টাকা বুঝিয়ে দিলে আবু কালাম টাকা পেয়ে কাগজ পত্র দিতে গড়িমসি করেন এতে প্রতিবন্ধী ছালাহ উদ্দিন প্রতিবাদ করলে আবু কালাম পূর্বপরিকল্পিত অনুযায়ী আবু কালাম এবং তার ভাই সবুজ (৩২) একই গ্রামের জাহাঙ্গীর, পিতা অজ্ঞাতসহ ২/৩ জনের ভাড়াটিয়া লোকজন ছালাহ উদ্দিনকে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে পেলে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা ছালা উদ্দিনকে উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত আবুল কালাম জায়গা বিক্রি এবং টাকা নেয়ার করার কথা স্বিকার বলেন, ৯৫ হাজার টাকা দিঘীর সভাপতি বেলাল কেরানির মাধ্যেমে ছালাহ উদ্দিন আমাকে বুঝিয়ে দেয়। গতকাল ছালাহ উদ্দিন ৩৫ হাজার টাকা আমাকে দেয়ার কথা ছিলো কিন্তু সে টাকা আমাকে না দিয়ে প্বার্শবর্তী সেলিম বাজারের সভাপতি জমির দালাল রহমানকে টাকা বুঝিয়ে দেয় তখন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমি ঝাপের লাঠি নিলে তার মাথায় আঘাত লাগে।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন, অভিযোগ করছে কিনা আমার জানা নেই, ডিউটি অফিসার জানে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/মে ১৯, ২০২২)