আফরিন অনিমা : ফেসবুকে খবরটা দেখে খুব খারাপ লাগলো। শাহারাস্থিতে আ'লীগ দলীয় সাংসদ এড নুরজাহান মুক্তার সভায় ভাংচুর করল দলীয় আরেক সাংসদের অনুসারীরা। এই যদি হয় অবস্থা তাহলে সরকারের উন্নয়ন সফলতা ভোগ কেমনে করবে আ'লীগ?

মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী ও অন্যতম সেক্টর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধে যে কয়জন বীর সেনার কথা ইতিহাসে স্বর্নালী হয়ে থাকবে তার মধ্যে অন্যতম তিনি। এ নিয়ে কোন সংশয় নেই কারো মাঝে। মেজর রফিক বর্তমানে আ'লীগ দলীয় সাংসদ ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। উনার নির্বাচনী এলাকা শাহরাস্থি ও হাজীগঞ্জে চলে সামরিক স্টাইলের রাজনীতি। এখানে তার মতের বিরুদ্ধে দলীয় কোন নেতা গেলেই অপদস্থ হতে হয় তাকে। মামলা দিয়ে হয়রানীর পাশাপাশি হামলারও স্বীকার হতে হয় ভীন্ন মতপোষনকারীদের। দশম সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মেজর রফিকের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক ডেপুটি এটার্নী জেনারেল এড নুরজাহান বেগম মুক্তাসহ আরো অনেকেই দলের মননোয়ন চান। মেজর রফিক দলীয় সমর্থনে এমপি হন এবং নুরজাহান মুক্তাকে সংরক্ষিত কোঠায় এমপি নির্বাচিত করা হয়। সেই সময় থেকেই নুরজাহান মুক্তাকে মেনে নিতে পারেননি মেজর রফিক। উনার নির্বাচনী এলাকায় আর কোন নেতৃত্ব উঠে আসুক, আর কেউ নেতৃত্ব দেবে, আর কোন নেতা থাকবে সেটা তার সহ্য হয় না। স্থানীয় নির্বাচন গুলোতেও একাধিক প্রার্থী করান দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যাতে দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হয়ে উনার জন্য হুমকি হতে না পারে? যদিও এই মুহুর্তে মেজর রফিকুল ইসলাম দেশের বাহিরে তবুও গত শনিবার সাংসদ নুরজাহান মুক্তার নিজ উপজেলা শাহরাস্থির আইডিয়েল একাডেমির একটি পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্টানে মেজর রফিকুল ইসলামের খালাত ভাই শাহীনের নির্দেশে যুবলীগ সভাপতি তোফায়েল, হেলালী(শরীফ), জালালী(শরিফ), মঈন ও মাহফুজের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে পুরুস্কার বিতরনী মঞ্চে ভাংচুর করে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরও মারধর করা হয়। পরে অবশ্য সাংসদ মুক্তা আইডিয়েল একাডেমির পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্টানে উপস্থিত হয়ে কোমলমতি শিশুদের মাঝে পুরুস্কার বির্তরন করেন। নুরজাহান মুক্তা তো বাহিরের কেউ না, আমাদের দলীয় সাংসদ। তবে কেন তিনি যে অনুষ্টানে উপস্থিত থাকবেন সেখানে হামলা করা হবে? নুরজাহান মুক্তা কী দলের স্বার্থবিরোধী কোন কাজ করছেন? এই নুরজাহান মুক্তা তো কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোলা সহ অনেক যুদ্ধাপরাধীর বিরোদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী হয়ে লড়েছেন। সামসুন্নাহার হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। খুব খারাপ লাগে যখন দেখি আ'লীগের এক নেতা আরেক নেতাকে সহ্য করতে পারেন না? কোন সাংসদ যখন তার নিজ এলাকায় কাজ করে তখন দল ও দলের কর্মীরা উজ্জিবীত থাকে। আফসোস সেটাও সহ্য হয়না আমাদের আরেক সাংসদের?
ভাই, এটা পাঠকের লেখায় দিয়ে দাও।
লেখক : সক্রিয় অনলাইন কর্মী