স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার সম্পাদক প্রবীর সিকদার ঢাকার ধানমণ্ডির রিয়েল এস্টেট কোম্পানি গ্রীন ডেল্টা হাউজিং এন্ড ডেভলপমেন্ট (প্রা:) লিমিটেডের প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারাতে বসেছেন। তিনি গ্রীন ডেল্টার কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট কিনে এই প্রতারণার শিকার হন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্ব হারানো ও রাজাকার বিরোধী লেখালেখির কারণে নৃশংস হামলার শিকার সাংবাদিক প্রবীর সিকদার জানিয়েছেন, সারা জীবনের সঞ্চয় ও পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি চার বছর আগে গ্রীন ডেল্টা (বাড়ি নং ৯/খ, সড়ক নং ১৩ নতুন, ধানমণ্ডির আবাসিক এলাকা, ঢাকা) কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাট কেনেন। ফ্ল্যাট লোকেশন : গ্রীন ডেল্টা স্বপ্লীল, ১০০-১০০/১ ইব্রাহীমপুর, কাফরুল, ঢাকা। কিন্তু কোম্পানিটি দীর্ঘ দিনেও তাকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়নি। রহস্যজনক কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখে কোম্পানিটি তাকে সহ অন্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে।

এ ব্যাপারে কোম্পানির ব্যবস্থপনা পরিচালক বেলাল হোসেনকে উপর্যুপরি চিঠি লিখেও কোনো সদুত্তর মেলেনি। প্রবীর সিকদার আরো বলেন, কোম্পানীটির চেয়ারম্যান নূরুল আমীন ও তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল হোসেন দীর্ঘদিন অফিস করেন না। কিন্তু তাদের মহাব্যপস্থাপক পদবীর দুই কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম শিমুল চোধুরী ও আবু সুফিয়ান সোহাগের মাধ্যমে অফিস খোলা রেখে যথারীতি প্রতারণার কাজটি অব্যাহত রেখেছেন।

একই প্রকল্পের গ্রাহক ও কোম্পানিটির প্রতারণার শিকার মো. খসরু, জাফর আহম্মেদ ও মো. মনজুর সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তারাও গ্রীন ডেল্টার খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হরোনোর আশঙ্কার কথা জানান। তারা একই ফ্ল্যাট তিন জনের কাছে বিক্রির গুরুতর অভিযোগও করেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে এই প্রতিবেদক কোম্পানির দুই মহাব্যবস্থাপক উম্মে কুলসুম শিমুল চৌধুরী ও আবু সুফিয়ান সোহাগের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে ধানমণ্ডি ও কাফরুল থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে বলে জানান সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। ধানমণ্ডি থানার ইন্সপেক্টর অশোক চৌহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। প্রবীর সিকদার আরো জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ গ্রীন ডেল্টার অসংখ্য অপকর্মের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে অসংখ্য গ্রাহক জীবনের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসবে।

(এটি/এপ্রিল ২৬, ২০১৪)