আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত অন্তত ৮০ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএউচও)। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ মে) সংস্থাটির তরফে মাঙ্কিপক্স আরও ছড়িয়ে পড়া এবং শনাক্ত হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।

সন্দেহভাজন হিসেবে আরও ৫০ জনের মাঙ্কিপক্স শনাক্তের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও সন্দেহভাজন এসব রোগী কোন দেশের তা প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে, ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্য মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ।

মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়া এতোদিন আফ্রিকার মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এটি ছড়িয়ে পড়া শুরু করেছে ইউরোপ ও আমেরিকায়।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বলছে, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাসজনিত রোগ। এটি তেমন গুরুতর নয়। আক্রান্ত হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। এটি একবারও যারা আফ্রিকায় ভ্রমণ করেননি, তাদেরও শনাক্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। যদিও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, এ পর্যন্ত ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এ প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক, কারণ এমন কিছু দেশে রোগটি ছড়াচ্ছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি। আক্রান্তদের শনাক্ত করে সাহায্য করাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে ডব্লিউএইচও। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ না করার জন্যও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

যুক্তরাজ্যে প্রথম মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৭ মে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া সফর করেন। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে ফেরার আগে তিনি নাইজেরিয়ায় ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হন।

১৯৫৮ সালে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন। তারা তখন গবেষণায় বানরদের মধ্যে ‘পক্স-সদৃশ’ রোগের অস্তিত্ব টের পান এবং পরে এটি মাঙ্কিপক্স নামকরণ করা হয়। মানব শরীরে এর সংক্রমণ ঘটে ১৯৭০ সালে। কঙ্গোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি নয় বছর বয়সী ছেলের মধ্যে প্রথম ঘটে এ সংক্রমণ।

তথ্যসূত্র : বিবিসি

(ওএস/এএস/মে ২১, ২০২২)