ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে আলোচিত মিঠুন হত্যা মামলায় জবা খাতুন (২৬) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ মে) দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। জবা খাতুন উপজেলা মুলাডুলি ইউনিয়নের আড়কান্দি পতিরাজপুর গ্রামের জালাল প্রামানিকের মেয়ে। এ মামলার প্রধান আসামী সাগর কারাগারে মারা গেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিকাশ চক্রবর্তী জানান, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে ইঞ্চিন চালিত রিক্সা চালক মিঠুনের (২৮) রিক্সায় চড়েন জবা ও তার স্বামী সাগর। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকা ঘোরাঘুরির পর রাতে ঈশ্বরদী-পাবনা সড়কের সুগারক্রপ গবেষণার দেয়ালের পাশে নির্জন স্থানে দা দিয়ে মিঠুনকে কুপিয়ে হত্যা করে সাগর। পরে তারা লাশ ফেলে রেখে রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার ৮দিন পরে মিঠুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়েরের পর পুলিশের তদন্তে জবা ও সাগরকে হত্যায় যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে অভিযুক্তরা ১৬৪ ধারায় স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এস আই বিকাশ চক্রবর্তী আরো জানান, মিঠুন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তাঁর এক পা ছোট ছিল। অভিযুক্ত জবা খাতুন স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছিলেন মিঠুন তাকে উত্ত্যক্ত করতো। সেজন্য মিঠুনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

রাষ্ট্রপরে আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক জানান, মামলার শুনানি ও যুক্তিতর্কে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি জবাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি জবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

(এসকেকে/এসপি/মে ২৩, ২০২২)