রাজন্য রুহানি, জামালপুর : সকল কুসংস্কার বন্ধ করে বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু হওয়া ঋতুস্রাব বা মাসিককালীন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের পাঠদান যাতে ব্যাহত না হয় সে-উদ্দেশ্যে পৌরসভার প্রতিটি হাইস্কুলে 'কিশোরী কর্ণার' স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন পৌর মেয়র মো. ছানোয়ার হোসেন।

মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে উন্নয়ন সংঘের বাস্তবায়নে জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম আয়োজিত এক প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি স্যানিটারি নেপকিন ব্যবহারের জন্য কিশোরী কর্ণার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার প্রতিটি হাইস্কুলে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পৌরসভা থেকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের আশ্বাসও দেন।

তিনি আরও বলেন, বয়ঃসন্ধিকালের এ সময়টাতে স্কুলে যেন ছাত্রীদের বিব্রত হতে না হয়, সেজন্য কিশোরী কর্ণার খুবই প্রয়োজন।

প্রচারণা অনুষ্ঠানে প্রজনন স্বাস্থ্য ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে করণীয় বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মুক্তার হোসেন।

গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও হযরত শাহজামাল (রঃ) উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আছাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. চিকিৎসা কর্মকর্তা সানজিদা হোসেন প্রাপ্তি, জামালপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শিমুল, ওয়ার্ল্ড ভিশন এরিয়া প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক সাগর ডি কস্তা, উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন প্রমুখ। এছাড়া সভায় ৫০ জন ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোক্তার হোসেন স্যানিটারি নেপকিন বিষয়ক একটি বিজ্ঞাপন চিত্রের উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'তোমরা দাঁড়ালে, বাংলাদেশ দাঁড়াবে' এ চমৎকার শ্লোগানের সাথে সবাইকে সুর মিলিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। মান্ধাতা আমলের ধ্যান ধারণা পাল্টে আধুনিক জীবনধারার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে হবে। আজকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর করতে গিয়ে যে কোন ধরণের সহায়তায় জেলা প্রশাসন পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

(আরআর/এএস/মে ২৪, ২০২২)