বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের জয়মনির গোল এলাকায় সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার বোঝাই একটি কার্গো ডুবে গেছে। মংলার হারবাড়িয়া এলাকা থেকে ৬৫০ মেট্রিক টন ক্লিংকার বোঝাই করে মংলা বন্দরে আসার পথে সকার সাড়ে ৮টার দিকে এমভি নয়ন শ্রি-৩ নামের এই কার্গোটি ডুবে যায়। এ সময়ে কার্গোতে থাকা ১৩জন ক্রুর সবাই সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয় বলে কার্গোর মালিক আব্দুল আজিজ শিকদার নিশ্চিত করেছেন।

মংলা বন্দরের হারবার মাষ্টার মো: আক্তারুজ্জামান খান জানান, হারবাড়িয়া এলাকা থেকে চীনের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি হুয়াই থেকে ক্লিংকার বোঝাই করে সোমবার গভীর রাতে মংলার উদেশ্যে ছেড়ে আসে কার্গোটি। পথিমধ্যে জয়মনির গোল এলাকায় ডুবোচরে আটকা পড়ে কার্গোটির তলা ফেটে গেলে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কার্গোটি ডুবে যায়। তবে এখনও পর্যন্ত কার্গোটি উদ্ধারে বন্দর থেকে কোন উদ্ধারকারী জাহাজ এখনো পাঠানো সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। বন্দরের পশুর চ্যনেলে ডুবে যাওয়া কার্গোটির অবস্থান সানাক্ত করতে মংলা বন্দর কর্তপক্ষ নৌবাহিনীর বিএনএস মংলা ঘাটির সহয়তা চেয়েছে।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকায় এমভি হাজেরা নামের অপর একটি ক্লিংকার বোঝাই কার্গো ডুবে যায়। সে কার্গোটিও এখনও উদ্ধার করতে পারেনি মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সোমবার বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলে ফেয়ারওয়ের ১২ নম্বার বয়া এলাকায় ডুবে চরে আটকে যায় সার বোঝাই একটি বিদেশী জাহাজ। চট্রগ্রাম থেকে মংলা বন্দরে আসার পথে সুন্দরবন উপকূলে বঙ্গোপসাগরে ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে সোমবার সন্ধ্যায় ডুবো চরে আটকে পড়া সার বোঝাই ফিলিপাইনের পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি তুফিমাদান। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মংলা বন্দরের উদ্ধারকারী জাহাজ এম,টি সারথি-২ আটকে পড়া জাহাজটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। লাইটারের মাধ্যমে মাল খালাসের পর আগামী ২ দিনের মধ্যে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে হারবার মাস্টার খান মো: আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪)