মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর তদন্তে কমিটি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় অনুমোদনহীন ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও ক্লিনিক সিলগালা করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কমিটির আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) রাতে সিজারিয়ান করার সময় ভুল চিকিৎসায় লাইলী বেগম (৩০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের আতোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন,অনুমোদনহীন এ ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফজল আবুল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ঘটনাতদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালট্যান্ট ডা. ফারহানা পারভীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়াও ওই ক্লিনিক পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ মে) বিকেলে লাইলী বেগমের প্রসব ব্যথা হলে স্বজনরা তাকে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. রুপক রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু সেখানে থাকা ক্লিনিকের দালাল শামছুর খপ্পরে পড়ে রোগীর স্বজনরা। কম টাকায় সিজারিয়ান অপারেশন করানোর কথা বললে দরিদ্র রোগীর স্বজনরা দালালের কথামত স্থানীয় মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়।

ওই ক্লিনিকের সার্জারি চিকিৎসক ও ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এনামুল হক সোহেল ও অ্যানেস্থিসিয়ার চিকিৎসক ডা. আল মামুন অস্ত্রোপ্রচার শুরু করেন। এক পর্যায়ে রোগী অপারেশন টেবিলে মারা যায়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্বজনদের না জানিয়ে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দেয়।

(এসএম/এসপি/মে ২৭, ২০২২)