আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক হাজার ৬০০ কোটি রুপির অর্থ পাচারের একটি মামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যান শনিবার (২৮ মে)। এসময় আদালতে তিনি বলেন, পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কোনো বেতন নেননি এবং এটি করার জন্য নিজেকে ‘মজনু’ বলেও সম্বোধন করেন।

২০২০ সালের নভেম্বরে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) তার দুই ছেলে হামজা শরিফ ও সুলেমান শরিফকেও অভিযুক্ত করে। হামজা শরিফ বর্তমানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং সুলেমান শরিফ যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

এফআইএ-র তদন্ত টিম ২৮টি বেনামি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করে। শাহবাজ পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৬০০ কোটি রুপি পাচার করা হয়।

শুনানি চলাকালীন শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি সাড়ে ১২ বছরে সরকারের কাছ থেকে কিছুই নেইনি। আমার বিরুদ্ধে আড়াই লাখ রুপির অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি একজন মজনু এবং আমি আমার আইনগত অধিকার, আমার বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিনি’।

গত ২১ মে আগের শুনানির সময়, বিশেষ আদালত শাহবাজ শরিফ ও হামজা শরিফের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন ২৮ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানায়। পরে এই মামলায় সুলেমান শরিফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।

পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। গত ১১ এপ্রিল দেশটির পার্লামেন্টে ১৭৪ সদস্য তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে ভোট দেন। শাহবাজ শরিফ প্রথমবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন ১৯৯৭ সালে, যখন তার ভাই নওয়াজ শরিফ দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয় ও ২০১৩ সালে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের। ডন, এডিটিভি।

(ওএস/এসপি/মে ২৮, ২০২২)