রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিখোঁজ মেয়েকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চিংড়িখালি থেকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে সাতক্ষীরা সদর থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের লাবনী মোড় থেকে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় তাকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

খুলনা বাইপাস সড়কের আটরা শিল্পাঞ্চল এলাকার এক দর্জি জানান, তার মেয়ে ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের চিংড়িখালি গ্রামের সুজাউদ্দিনের ছেলে ও বর্তমানে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুতের কর্মী মাসুদুর রহমান সাগর খুলনার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্ট কলেজে পড়াশুনা করতো। বর্তমানে তার মেয়ে (২১) গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পড়াশুনার সুবিধার্থে সে গোপালগঞ্জের পাতুড়িয়া বাজারের পাশ্ববর্তী সাংবাদিক মুরাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। বৃহষ্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে তিনি মেয়ের ফোনে কথা বলেন। এর এক ঘণ্টা পর আবারো কথা বলার চেষ্টা করলে মেয়ের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে ২৭ মে সকালে সাংবাদিক মুরাদের বাড়িতে যেয়ে মেয়েকে না পেয়ে তিনি গোপালগঞ্জ থানায় ১১১৪ নং হারানো ডায়েরী করেন।

বিষয়টি তাদের পরিচিত এক র‌্যাব কর্মকর্তাকে জানানো হয়। তাদেরই সহযোগিতায় শনিবার দুপুরে শ্যামনগরের চিংড়িখালি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের লাবনী মোড় এলাকায় ট্রাফিক সিগনালে গাড়িটি দাঁড়িয়ে গেলে মেয়েটি কান্না শুরু করে। একপর্যায়ে ট্রাফিকের পক্ষ থেকে তাদের বহনকারি গাড়িসহ তাদেরকে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। গার মেয়েকে মাসুদুর রহমান ও তার লেঅকজন অপহরণ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কবীর জানান, গত ২৬ মে মেয়েটি ইসলাম ধর্শ গ্রহণ করে জান্নাতুল ফেরদৌস নাম ধারণ করা সংক্রান্ত ২৬ মে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের নোটারী পাবলিক অ্যাড. রেজোয়ান উদ্দৌল্লাহ বাচ্চু সম্পাদিত একটি এফিডেফিড তিনি পেয়েছেন। ওই এফিডেফিডে সাক্ষী হিসেবে মাসুদুর রহমান সাগরের মা ছকিনা খাতুন ও আব্দুল ওহাবের সাক্ষর রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি কার সঙ্গে এসেছিল বা কোথায় এসেছিল তা তাকে জানায়নি। তবে মেয়েটি তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ব্যর্থ হলে আদালতই ঠিক করবেন মেয়েটির ভবিষ্যৎ নিয়ে।

(আরকে/এসপি/মে ২৮, ২০২২)