নোমান ইবনে সাবিত, নিউইয়র্ক : বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও সাবেক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড (বোস্টন) বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ মে) বোস্টন সংলগ্ন ক্যামব্রিজের দারুল কাবাব রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিল জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন ও গণতন্ত্র। 

নিউ ইংল্যান্ড (বোস্টন) বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ রুবেনের সভাপতিত্বে এবং মোঃ রাজ্জাক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান বক্তা ও নিউ ইংল্যান্ড (বোস্টন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সোহরাব এইচ খান, নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির উপদেষ্টা মোজাম্মেল হোসাইনী, মাহমুদুর রহমান, মাহবুবুল হক ডিউক, মাহবুবুর রহমান অপু, প্রফেসর আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাসাসের সভাপতি শামসুল আনোয়ার খান, যমুনা ওয়েল কোম্পানির সাবেক পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন আহমেদ, নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আবুল বাশার, আশেক রাজ্জাক ও চট্টগ্রাম মহানগরের ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ প্রমুখ।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত এবং দোয়া পরিচালনা করেন প্রফেসর আব্দুস সালাম। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ সারা বিশ্বের সকল মানুষের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করার পর তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। সভায় দলের চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান বক্তারা।

বক্তারা সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পদ্মা সেতু কারো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে তৈরি হয়নি বরং জনগনের টাকা দিয়ে তৈরী। একটা দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেন।

১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চার বছর বাংলাদেশ শাসন করার পর ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে নির্মমভাবে নিহত হন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্মমভাবে নিহত তিনি। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তাও ছিলেন।

(বিপি/এসপি/মে ৩০, ২০২২)