বিনোদন ডেস্ক : হলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। একের পর এক ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস হচ্ছে আর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অস্কারজয়ী এই নায়িকাকে। এ নিয়ে তৃতীয় দফায় অনলাইন হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন তিনি। এবার হ্যাকাররা লরেন্সের ৫৫টি নগ্ন ছবি ফাঁস করে দিয়েছেন।

এদিকে নিজের মোবাইলের আইক্লাউড অ্যাকাউন্ট থেকে বার বার বিতর্কিত ছবি ফাঁস হওয়ার বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন জেনিফার লরেন্স।

রেডডিট ও ফোরচ্যান নামের একদল হ্যাকার ছবিগুলো ফাঁস করেছেন। তারা এবারের কার্যক্রমকে 'দ্য ফ্যাপেনিং থ্রি' নামে অভিহিত করেছেন। 'হ্যাপেনিং' ও 'ফ্যাপিং' শব্দ দুটির সংমিশ্রণে 'ফ্যাপেনিং' শব্দটি তৈরি করেছেন হ্যাকাররা। এর অর্থ 'খুবই আপত্তিকর'। এবারের ফাঁস হওয়া প্রতিটি ছবিতেই লরেন্সকে সম্পূর্ণ বিবসনা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জেনিফার লরেন্সের মুখপাত্র জানান, হলিউডে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিনেত্রীদের নগ্ন ছবি ফাঁসের ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ঘটনাটি নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠেছে। আইক্লাউড অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে একের পর এক ছবি ফাঁস হওয়ায় ভীষণ খেপেছেন লরেন্স।

সূত্রটি আরো জানিয়েছে, 'হাঙ্গার গেমস' সিনেমারর শুটিংয়ের সময় মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় লরেন্সের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। এগুলো তিনি তার মোবাইলের আইক্লাউড অ্যাকাউন্টে রেখেছিলেন। দুষ্ট হ্যাকাররা সেখান থেকেই তার সব ছবি হ্যাক করে রেডডিট ও ফোরচ্যান নামের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছেন।

এদিকে, লরেন্সের পাশাপাশি সুপার মডেল কারা ডেলেভিন ও অভিনেত্রী আনা কেনড্রিকের নগ্ন ছবিও ফাঁস করা হয়েছে। এর আগে, পপতারকা রিহানা, সেলেনা গোমেজ, ম্যারি এলিজাবেথ উইনস্টিড, কিম কারদাশিয়ানসহ অনেক তারকার নগ্ন ছবি ফোরচ্যানে প্রকাশ করেন হ্যাকাররা। কিভাবে তারা এসব ছবি চুরি করলেন, তা আজও সবার কাছে রহস্যময়ই থেকে গেছে। তবে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

(ওএস/অ/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪)