এস এম আলী আশরাফ: সাংবাদিক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজের কল্যাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। গত ১ জুলাই ২০১৪ জাতীয় সংসদে  বিলটি পাশ হয়েছে।

এই ঐতিহাসিক বিল আপামর সাংবাদিক সমাজের জন্য অপূরণীয় কল্যাণ বয়ে আনবে। বিলটি সাংবাদিক সমাজের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিল। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জাতীয় সংসদে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০১৪ উপস্থাপন করলে তা ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে কন্ঠভোটে পাশ হয়েছে।

নিহত, আহত, অসুস্থ, কাজ করতে অক্ষম ও অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে গঠিত এ ট্রাস্ট কর্মে অক্ষম ও অসমর্থ সাংবাদিকদের আর্থিক সাহায্য প্রদানে, অসুস্থ সাংবাদিকদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং সাংবাদিক ও তাদের সন্তানদের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করবে। ট্রাস্ট গঠনের পর সরকার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। দেশী-বিদেশী অর্থ ও অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া অর্থে এ ট্রাস্টের তহবিল গঠন করা হবে। এ ট্রাস্টি বোর্ড সঠিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করলে সাংবাদিক সমাজের অনেক কল্যাণ বয়ে আসবে। পেশাগত দক্ষতার উন্নতি ও সাংবাদিক সমাজের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধন করবে। ধাপে ধাপে সাংবাদিক সমাজ পেশাগত মর্যাদা ও সচ্ছল জীবন-যাপনে সক্ষম হবে। অনেকে মনে করেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের পর নিজস্ব একটি ওয়েব সাইটে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রিপোর্টার ইউনিটি’র গত ১০ বছরের ভোটার তালিকা সংগ্রহ করে বিগত দিনের ভোটার তালিকাভুক্ত সকল সাংবাদিক সমাজকে ছবিসহ ডাটা এন্ট্রি করে নিজেস্ব ওয়েবসাইটে ডাক্তার ও শিক্ষকদের মতো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। তখন খুব দ্রুত যে কোন সাংবাদিকের চিকিৎসা, অসচ্ছলতা, কর্মে অক্ষম, বেকারত্ব ও অন্যান্য সমস্যাগ্রস্ত সাংবাদিকদের এ ট্রাস্টি বোর্ড সহায়তা প্রদানে দ্রুত সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

প্রেসক্লাব চত্বরে প্রায় ১০ বছর পূর্বে সাংবাদিক নেতা বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিক সমাজের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার বক্তব্যে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। শেখ হাসিনা ঐ সময় তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ইনশাআল্লাহ, যদি আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারি, তখন আপনাদের দাবি সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের চেষ্টা করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ওয়াদা পূরণ করেছেন। আমরা সাংবাদিক সমাজ তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।

আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট একসময় দেশের সকল সাংবাদিক,কলামিষ্ট, কবি, সাহিত্যিক ও সংবাদকর্মীকে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে নিজস্ব ওয়েবসাইটে ডাটা নিবন্ধন তালিকা প্রণয়ন করে, সম্ভব হলে প্রত্যেকে বেসরকারি স্কুল কলেজের ন্যায় এমপিওভুক্তকরণ করবে। সারা দেশে ডিএফপিভুক্ত যেসব সংবাদ মাধ্যম রয়েছে, এতে জেলা, উপজেলা লেভেল পর্যন্ত যে সব সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও সংবাদকর্মী কর্মরত আছেন, এরা সমাজের সার্বিক কল্যাণে ব্রত। তাই সকল সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও সংবাদকর্মীকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব ওয়েবসাইড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেরণায়, মাননীয় তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সমাজের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড বিল ২০১৪ জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ায় সাংবাদিক সমাজে আশার আলো উদয় হয়েছে। এ ট্রাস্টি বোর্ড সঠিকভাবে এগিয়ে চললে সাংবাদিক সমাজের সকল সমস্যা চিরতরে নিরসন হবে। আপামর সাংবাদিক সমাজ মনে করে, খুব দ্রুততার সঙ্গে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নিজস্ব ওয়েব সাইটের মাধ্যমে দেশের শিক্ষক সমাজের ন্যায় সাংবাদিক সমাজকে এমপিওভুক্তিকরণ দ্বারা বেসরকারি শিক্ষকদেরকে যেভাবে বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়, তেমনি সাংবাদিক সমাজকেও ভবিষ্যতে বেতনের একটা অংশ ট্রাস্টি বোর্ড প্রদান করবে। আর এর সুফল পাবে সাংবাদিক সমাজ। তখন দেশ, সমাজ, ও দেশের মানুষ সঠিক তথ্য পেয়ে দ্রুত কল্যাণের দিকে এগিয়ে যাবে। দেশের যে কোন সাংবাদিক, কলামিষ্ট ভালো সংবাদ ও তথ্য উপস্থাপন করলে জনস্বার্থে ভালো লেখালেখি করলে, এ ষ্ট্রাস্টি বোর্ড ঐসব লেখক, সাংবাদিক ও কলামিষ্টদেরকে ভালো রিপোর্ট, লেখালেখি’র জন্য পুরু®কৃত ও ধন্যবাদ জানিয়ে উৎসাহিত করবে।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বরণের পর এসব রীতি-নীতি ছিলো না বলে সাংবাদিক সমাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিক সমাজের কল্যাণের লক্ষ্যে দেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে জাতীয়করণ করেছিলেন। তখন ঐ সব প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরা জাতীয় কোষাগার থেকে বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা পেয়েছিল। ঐ প্রক্রিয়া সাংবাদিক সমাজের সর্বোচ্চ পেশার মর্যাদা সূচনা করেছিল। যা ছিলো সাংবাদিক সমাজের জন্য আশীর্বাদ। বিগত সময়ে যদি বঙ্গবন্ধুর ঐ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকতো, তাহলে আজ হয়তো দেশের প্রায় সকল সংবাদ মাধ্যম ক্রমন্বয়ে স্বায়ত্বশাসিত হয়ে যেত। আর সাংবাদিক সমাজ দেশের অন্যান্য পেশার মানুষের চেয়ে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে থাকতো। যারা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বরণের পর ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা ঐ প্রক্রিয়া বন্ধ করে নিজেদের মতলববাজী ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে সাংবাদিক সমাজকে এতবছর অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে রেখেছিল। এখনও তারা সরকারের এ মহতি কাজকে ব্যাহত করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক সমাজের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ষ্ট্রাস্ট গঠন করে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যা সাংবাদিক সমাজের জন্য চীরকাল আর্শীবাদ বয়ে আনবে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট যখন শক্তিশালী হবে তখন হয়তো সাংবাদিক সমাজ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের মতো অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। সাংবাদিক সমাজের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা তখন আরও বৃদ্ধি পাবে। আগামী প্রজন্মের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী নি:সন্দেহে এ পেশায় আত্মনিয়োগ করবে। সাংবাদিক সমাজের মহান পেশার মর্যাদা চীরকাল সকল পেশার ঊর্ধেŸ অক্ষুন্ন থাকবে। কলম সৈনিক সাংবাদিক সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল পাশ ও ট্রাস্ট গঠনকে স্বাগত জানাই।

সাংবাদিক সমাজের অনেকেই মুখে বলতে পারছে না তার নিজের সমস্যা, অভাব, অনটনের কথা। ছোট-খাট পত্র-পত্রিকা মাস শেষে ঠিকমত বেতন-ভাতা দিতে পারে না। এজন্য অনেকে মান-অভিমানে ঠিকমত অফিসে যেতে চায় না। এসব বিষয় এত বছর কেউ দেখার ছিলো না। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের পর আশা করি, এসব সমস্যা লাঘব হবে।

সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার জন্য অনেক ভালো ভালো সাংবাদিক, কলামিষ্ট, সমাজ ও পরিবারের নিকট অর্থনৈতিকভাবে অবহেলিত। অনেক সময় অর্থের দাপটে অনেকে সাংবাদিকদের সাথে অসৎ আচরণ করেছেন। সাংবাদিক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সমাজকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসেন। তাঁর পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি সাংবাদিক সমাজের দুঃখ, দুর্দশা, কষ্ট সহজে ঝুঝতে পারেন তাই সাংবাদিক সমাজের জন্য তিনি সহায়তা ভাতা দিয়েছেন। এবার সাংবাদিক সমাজের মর্যাদা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল ২০১৪ জাতীয় সংসদে পাশ করে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে সাংবাদিক সমাজের কল্যাণের স্থায়ী পথকে উন্মুক্ত করেছেন। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা তৈরী ও স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যা ঐতিহাসিকভাবে সাংবাদিক সমাজের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বর্তমান সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রনয়ন, বাস্তবায়ন ও পরীক্ষণের জন্য একটি স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি, আগামীতে স্বাধীন সম্প্রচার কমিশন সাংবাদিকসমাজ, গণমাধ্যম, দেশ, সমাজ, দেশের মানুষ, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে উজ্জল সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বর্তমান সরকারের স্বাধীন জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার উদ্যোগ সাংবাদিক সমাজের জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। সাংবাদিকতা মহান পেশা, সাংবাদিক সমাজের পেশাগত মর্যাদা সকল পেশার ঊর্ধ্বে থাকা উচিত। আশা করি, এ লক্ষ্যে যা যা করণীয় আগামীতে জাতীয় সম্প্রচার কমিশন সাংবাদিক সমাজের কল্যাণে তাই করবেন। সাংবাদিক সমাজ সংবাদকর্মী নয়। সাংবাদিক সমাজ জাতির বিবেক, সমাজের শিক্ষক, কলম সৈনিক, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। দেশের মানুষ মনে করে, সাংবাদিক সমাজ অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হলে সংবাদ মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বস্তুনিষ্ঠতা বাড়বে, দেশের গণতন্ত্র দৃঢ় হবে, জনসচেতনতা বাড়বে, ন্যায়-সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের জীবন-যাপনের মানও বাড়বে। অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে সুশিক্ষিত, ন্যায়পরায়ন, অধ্যবসায়ী মানুষ এ পেশায় আরো বেশি আত্মনিয়োগ করবে। দেশ বিদেশের সকল স্তরে এই পেশার দক্ষ লোকজন যে কোন দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। দেশ ও সমাজ থেকে সকল অন্যায় অত্যাচার ও কুসংস্কার দূর হবে। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ এবং সর্বাধুনিক ব্যবহার দ্বারা এ দেশকে সত্যিকারে সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিনত করতে সহায়ক হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা, ত্যাগ, পরিশ্রম ও সহিষ্ণু মনোভাব দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মনে আশার আলো সঞ্চার করেছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন, যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, সামান্য খরচে সরকারি সহায়তায় বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ, কৃষি খাতের উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন। তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন করেছেন। পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়নাধীন ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ দেশকে দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। খুব দ্রুত আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। দেশের মানুষ তা ধীরতার সাথে প্রত্যক্ষ করছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। কোন কোন মহলের রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দেশের শান্তি ও উন্নয়নের গতিধারা ব্যহত হবে, এটা কারও কাম্য নয়। আমরা সাংবাদিক সমাজ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট বিল পাস, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ও সম্প্রচার কমিশন গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা সাংবাদিক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আমাদের সাধুবাদ, প্রাণঢালা অভিনন্দন।

লেখক: প্রধান প্রতিবেদক, দৈনিক আল আমীন