স্বাধীন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কেশবপুর : কেশবপুরের হাসানপুর-বগা সড়কের দু’পাশে অসংখ্য বড় বড় গাছ মরে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দু’পাশের গাছ মরে শুকিয়ে গেলেও অপসারণ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি একটি গাছ ভেঙ্গে পড়েছে সড়কের উপর। গাছ মরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঝড়-বৃষ্টির এ মৌসুমে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে আতঙ্ক নিয়েই যাতায়াত করছে হাজারও পথচারী ও এলাকাবাসী। অতিদ্রুত সড়কের গাছ অপসারণ না করলে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাসানপুর-বগা সড়কের দু’পাশ দিয়ে ৩ কিলোমিটারের ভেতর বিভিন্ন প্রজাতির অন্তত ২০টি গাছ দীর্ঘদিন মরে শুকিয়ে গেছে। হালকা বাতাস হলেই মরা গাছের ডালপালা ভেঙ্গে সড়কের উপর পড়ছে। সম্প্রতি একটি গাছের গোড়া থেকে ভেঙ্গে সড়কের উপর পড়ে। এলাকার লোকজন ভেঙ্গে পড়া গাছটি সড়কের পাশে ফেলে রেখেছে।

এ সড়ক দিয়ে হাসানপুর, বগা, কাবিলপুর, টিটাবাজিতপুর, বেলেমাঠ, আওয়ালগাতী, মহাদেবপুর, সুঁড়িঘাটা, সাগরদাঁড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের হাজারও লোকজন কেশবপুর উপজেলার পাশাপাশি পাশ্ববর্তী এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দু’পাশের মরা গাছগুলো অতিদ্রুত অপসারণ না করলে যে কোন সময় গাছ ভেঙ্গে পড়ে সড়কে চলাচলকারী মানুষের প্রাণহানীর শঙ্কা রয়েছে।

হাসানপুর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, এই সড়কের দু’পাশের গাছ মরে শুকিয়ে ছালও উঠে গেছে। একটু বাতাস হলেই গাছের ছোট ছোট ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে। এ সড়ক দিয়ে কেশবপুরে যাতায়াতের সময় ভয়ে ভয়েই পার হতে হয়। কিছুদিন আগেই একটা মরা গাছ ভেঙ্গে রাস্তার উপর পড়েছিল। ভাগ্যিস কারও কিছু হয়নি।

হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বুলবুল হোসেন বলেন, ওই সড়কের মরা গাছ যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে ইউএনও স্যারকে মৌখিক জানিয়েছি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, সড়কের ওই মরা গাছগুলোর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, মরা গাছগুলোর বিষয়ে হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যরা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তাদেরকে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এ বিষয়ে একটি লিখিত দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। গাছগুলোর সঠিক মালিক পরিষদ নাকি বনবিভাগ সেটি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসএ/এসপি/জুন ০৫, ২০২২)