ইমরান হোসাইন, সিরাজগঞ্জ : যমুনা নদীতে স্রোত ও ঘূর্ণ্যাবর্তের কারণে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ পাকা রাস্তার মাথায় মুর্হুতের মধ্যে বিলীন হয়েছে ৫টি বসত ভিটা ও ২টি তাঁত কারখানা। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠা

সোমবার দুপুর ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিন দেখা গেছে, বসত ভিটা নদীতে চলে যাচ্ছে। কেউ ঘরের খুটি খুলছে, কেউবা টিনের চাল সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। আর মহিলারা কাপড় চোপড়, বিছানাপত্র ও রান্নার জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ স্থানে। যমুনা পাড়ে বয়স্ক ও শিশুদের কান্নার রোল পড়েছে। দৃশ্যটি চৌহালীর বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জের পাকা রাস্তার মাথায় নদী ভাঙন এলাকায়।

স্থানীয়দের সূত্র জানা যায়, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় দফায় দফায় যমুনার ভাঙন হয়েছে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে নদীতে পানি স্থিতিশীল থাকায় ভাঙন বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সোমবার দুপুরে যমুনা নদীতে স্রোত ও ঘূর্ণ্যাবর্তের সৃষ্টি হয়ে কৃষক আমোদ আলী, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, ইদ্রিস আলী, তারা মিয়া ও শাহ আলমের বসত ভিটা ও দুইটি তাঁত কারখানা নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা জানান, নদী ভাঙনের ব্যাপকতা দেখে আমরা হতভাগ। একদিকে কাজ চলছে জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের। অপর দিকে হঠাৎ করে ৫টি বসত ভিটা ও তাঁত কারখানা নদীতে চলে যাওয়ায় আমরাও আতঙ্কিত। আশা করছি দ্রুতই ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহন সেই সাথে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ সকল অসহায় পরিবারকে বিশেষ সহায়তা দেয়া হবে।

এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব জানান, চৌহালীর দক্ষিণাঞ্চলে চরসলিমাবাদ এলাকায় ভাঙনরোধে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে দেওয়ানগঞ্জের নদী ভাঙনে বসত ভিটা বিলীননের বিষয়টি জেনেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

(আইএইচ/এএস/জুন ০৬, ২০২২)