ইমরান হোসাইন, সিরাজগঞ্জ : টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধির শুরুতেই আকষ্মিক ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে তিনটি তাঁত কারখানাসহ অন্তত ১০টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ন ফসলি জমি।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত দুদিন যাবৎ টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি।

গত ২৪ ঘন্টায় শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ সেন্টিমিটার। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে জেলার চৌহালীতে শুরু হয়েছে তীব্র নদীভাঙ্গন।

সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙ্গনে চৌহালী উপজেলার বাগুটিয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ বাজার এলাকায় অন্তত তিনটি তাঁত কারখানা, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ ১০টি বসতভিটা ও বিস্তীর্ন ফসলি জমি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজারসহ অসংখ্য বসতবাড়ি।

বাগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা জানান, আকস্মিক ভাঙ্গনে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন মানুষ। দেওয়ানগঞ্জ বাজারসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের ঝুকিতে রয়েছে। এই স্থানে অতিদ্রুত ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু করা প্রয়োজন।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, ‘সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২.৪১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর বামতীরের চৌহালীতে ভাঙ্গন শুরু হওয়ার খবর পেয়েছি, সেখানে ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রনে জিওব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে।

(আইএইচ/এএস/জুন ০৭, ২০২২)