রাজন্য রুহানি, জামালপুর : সারাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ উপলক্ষে জামালপুরে গণনার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ।

এ উপলক্ষে তথ্য সংগ্রহে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ায় চলছে গণনাকারীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ। এছাড়া গণনাকারীদের ১ম পর্বের প্রশিক্ষণ (৪-৭ জুন) সম্পন্ন হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৯ জুন) থেকে শুরু হবে চারদিনব্যাপী ২য় পর্বের প্রশিক্ষণ।

প্রশিক্ষণে ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জয়শ্রী পাল।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপ-পরিচালক এ তথ্য জানান।

পরিসংখ্যান কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার ৭ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ পরিবারসহ বাংলাদেশী নাগরিক ও বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশিদের শুমারির আওতায় আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

সূত্র আরও জানায়, তথ্য সংগ্রহে জেলায় ৬৪টি জোন থাকবে। প্রতিটি জোনের জোনাল অফিসারের মাধ্যমে ৬৪ জন আইটি সুপার ভাইজার, ১০৬৯ জন সুপারভাইজার ও ৬১১৯ জন গণনাকারী কাজ করবেন।

জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জয়শ্রী পাল জানান, ষষ্ঠ জনশুমারি শুরু হবে আগামী ১৫ জুন। চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। এ উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। দেশে আগের পাঁচটি আদমশুমারির তথ্য খাতা-কলমে সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রথমবারের মতো এবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি হওয়ায় ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের জন্য কয়েক পর্বে মৌলিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এবারই প্রথম দেশের কোনো জেলায় অবস্থানকারী বিদেশিদের শুমারির আওতায় আনা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর গণনা থেকে কেউ বাদ পড়লে কলসেন্টার থাকবে। বাদ পড়া ব্যক্তি কলসেন্টারে যাবেন। তারপর তাঁকে গণনায় আনা হবে। ভাসমান মানুষের তথ্য সংগ্রহে ১৪ জুন রাত ১২টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কাজ করা হবে। যিনি যেখানে থাকেন, সেখান থেকেই তথ্য সংগ্রহ হবে। একই ব্যক্তির একাধিকবার তথ্য সংগ্রহ করার সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, ২৩ মে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা স্থায়ী শুমারি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান।

পরে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে জেলা শুমারি সমন্বয়কারীদের চারদিনের (২৫-২৮ মে) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা হয়। ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত গ্রহণ করা হয় উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার ও আইটি ভাইজারদের প্রশিক্ষণ।

প্রশিক্ষণ উপলক্ষে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে (৩০ মে অনুষ্ঠিত) এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

(আরআর/এসপি/জুন ০৮, ২০২২)