স্টাফ রিপোর্টার : বাজেটে স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর বিলোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। জুয়েলারি শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ও সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এ প্রস্তাব করা হয়। ফলে দেশের বাজারে স্বর্ণালঙ্কারের দাম আগের তুলনায় কমতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব করেন মন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বর্ণখাতকে নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর অধীনে পরিচালনার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ‘স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা ২০১৮’ প্রণীত হয়। এ নীতিমালা প্রণয়ণের পর সরকারি নিয়মনীতি অনুসরণ করে স্বর্ণ আমদানি করার লক্ষ্যে বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এবং উৎসাহ দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশে বৈধপথে স্বর্ণ আমদানি উৎসাহিত করা এবং স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করার লক্ষ্যে স্বর্ণ আমদানিতে বিদ্যমান অগ্রিম কর বিলোপের প্রস্তাব করছি। এতে জুয়েলারি শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটবে এবং সরকারের কর রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

করোনাভাইরাসের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এ বাজেটে ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়।

অনুদান বাদে এ বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। আর অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।

এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুন ০৯, ২০২২)