মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন।

বালুবাহী ড্রেজারে চাঁদা আদায় ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুর ১টার দিকে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকার ধলেশ্বরী নদী তীরে ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ মো. শাহাবুদ্দিনকে (২৪) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সিফাত (১২) ও সাদেক হোসেন (৫০) নামে আহত দুইজনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপর আহতদের বিভিন্ন প্রাইভেট কিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে, সংঘর্ষের পর থেকে হাটলক্ষীগঞ্জ ও নয়াগাঁও এলাকায় যুবলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘর্ষের আশংকায় ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন কর‍া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নদীতে বালুবাহী ড্রেজারে চাদাঁ আদায়কে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়।

এ ঘটনার জের ধরে বুধবার দুপুরে নয়াগাঁও এলাকার এক যুবককে মারধর করে পৌর কাউন্সিলর ও পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেনের লোকজন।

খবর পেয়ে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান তার লোকজন নিয়ে হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় গিয়ে মকবুল হোসেনের লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে শাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়।

এর জের ধরে দুপুর দেড়টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল দাবি করেন, প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতার লোকজন হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে।

তবে যুবলীগ নেতা জাহিদ হাসানের দাবি, অনিক নামে এক যুবলীগ কর্মীকে মকবুলের লোকজন মারধর করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে যুবলীগ নেতাকর্মীরা কোনো হামলা বা গুলিবর্ষণ করেনি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ইয়ারদৌস হাসান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নয়াগাঁও ও হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০১, ২০১৪)