ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : নীলফামারীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুজার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। তিনি ভার্চুয়ালী যুক্ত ছিলেন অনুষ্ঠানে। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু খোকারাম রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মশফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট অক্ষয় রায়, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট রমেন্দ্র বর্ধন বাপী, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ওয়ান ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনাকে। বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে বন্দী রাখা হয় তাকে। এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।

সে সময় চিকিৎসার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির জোরালো দাবি ওঠে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও দেশবাসীর আন্দোলন, আপোসহীন মনোভাব এবং আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাকে মুক্তি দেয়া না হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যাবে না বলেও ঘোষণা দেয়া হয়। অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তি পেয়েই শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এরপর ২০০৮ সালের ৬ নবেম্বর দেশে ফিরলে স্থায়ী জামিন দেয়া হয় তাকে। একই বছর ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয় লাভ করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করা হয়।

(ওআরকে/এএস/জুন ১১, ২০২২)