কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বলাইশিমুল গ্রামের হাওড়ে একটি মাঠনিয়ে ইউএনও সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর পর মাঠের একাংশে আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মান ও মাঠ সংস্কার নিয়ে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সমঝোতা বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোণার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মনির হোসেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত এসেছে, মাঠে খেলাধুলাও চলবে এবং একাংশে আশ্রয়নপ্রকল্পের ঘর নির্মানও হবে।

এরই প্রেক্ষিতে ১২ জুন রোববার বিকেলে আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় গিয়ে ২৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘরের নাম্বার সম্বলিত কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায় ওই মাঠটিতে অনেক আগে ফুটবল খেলা হতো। এখন আর তেমন খেলাধুলা না হয়ে গোচারন ভূমিতে পরিনত হয়েছে। বিভিন্ন মৌসুমে কৃষকরা ওই মাঠে ধান বন শুকিয়ে থাকেন। এক একর ৮৬ শতাংশ ভূমির মধ্যে মাত্র ৪৬ শতাংশ ভূমিতে ২৩টি পরিবারের জন্য আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উপহার হিসেবে যাদের ভূমিও নেই ঘরও নেই তাদেরকে দুই শতাংশ ভূমি ও ওই ভূমিতেই আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে।

বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, মাঠ রক্ষার দাবিতে গ্রামের একটি অংশের লোকদের মানববন্ধন ও আদালতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। তারা জানান, মাঠে যে ভূমি রয়েছে, তা সংস্কার ও দখলমুক্ত হলে সুন্দর পরিবেশে খেলাধুলাও চলবে, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীনরা পাবেন স্বপ্নের ঠিকানা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম জানান, ২৩টি পরিবারের পানিয় জলের সুবিধার জন্য ৪টি সাবমারজিবুল স্থাপন করা হচ্ছে। সেই সাথে প্রতি ঘরেই আলাদা আলাদা বিদ্যুতের মিটার থাকছে। এছাড়া মাঠ সংস্কার ও আশ্রয়ন প্রকল্পের যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে পাকা করা হচ্ছে।

বলাইশিমুল গ্রামের উপকারভোগী কালা মিয়া ও এরশাদ পাগলা জানান, আমাদের ঘরও ছিলনা জায়গাও ছিলনা প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর ও জায়গা করে দিয়েছেন। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খুব খুশি।

(এসবি/এএস/জুন ১২, ২০২২)