তুষার কান্তি বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : আগামী ১৫ জুন বুধবার গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ রকিব হোসেন বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন। তার বিজয়ে আর কোন বাঁধা নেই। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক। তাকে আওয়ামী লীগ পন্থী ৯ মেয়র প্রার্থী সমর্থন দিয়েছেন।

শেষ মুহুর্তে রোববার রাতে মেয়র প্রার্থী জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেয়র মোঃ মুশফিকুর রহমান লিটন নির্বাচনী মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দিয়েছেন।

এদিন বিকেলে সদ্য বিদায়ী গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও মেয়র প্রার্থী কাজী লিয়াকত আলী লেকু নিরর্বাচনী মাঠ ছেড়ে শেখ রকিবকে সমর্থন দেন।

এছাড়া আগেই মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এম. বদরুল আলম বদর, সাবেক মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি রায় চৌধূরী, জেলা যুব লীগের সভাপতি জিএম শিহাব উদ্দিন আজম, সাবেক কাউন্সিলর দীলিপ কুমার সাহা দিপু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এসএম নজরুল ইসলাম নূতন ও মোঃ আবুল ফাত্তাহ সজু নির্বাচ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন। এসব মেয়র প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দিয়ে তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এখন নির্বাচনী মাঠে প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনের সাথে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী দিদারুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আওয়ামী লীগের এ দুর্ভেদ্য ঘাঁটিতে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী দিদারুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা তেমন চোখে পড়ছেনা। এছাড়া পৌর এলাকায় তার কোন পোষ্টার লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। নির্বাচনী প্রচারনায় তার কোন টিমকেও কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি তার কোন নির্বাচনী সমাবেশও হচ্ছেনা।

পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ রকিবের পক্ষে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ টি ওয়ার্ডের আনাচে কানাচে গণ জেয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন বলে সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন।

মেয়র প্রার্থী শেখ রকিব হোসেন বলেন, ১৫ জুন গোপালগঞ্জ পৌরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত গোপালগঞ্জ পৌরসভাকে একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও নান্দনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব।

ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী দিদারুল ইসলাম বলেন, আমি একটি মাইক দিয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিছু পোস্টার দিয়ে ছিলাম। বৃষ্টিতে সেগুলো ছিড়ে পড়েছে। এছাড়া আমার মহিলা ও পুরুষ টিম কাজ করছে। নির্বাচন নিয়ে আমার কোন শংকা নেই। নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত আশি লড়ে যাব। প্রত্যাশিত ভোট পাব বলে আমি আশা করছি।

গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ফয়জুল মোল্লা বলেন, ১৫ জুন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। ৫৫ হাজার ১ শ’ ৮৭ জন ভোটার ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন। এরমধ্যে নারী ভোটার ২৭ হাজার ৮ শ’ ১৬ জন এবং পুরুষ ভোটার ২৭ হাজার ৮ শ’ ১৬ জন।

(টিকেবি/এসপি/জুন ১৩, ২০২২)