কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক আবু জাফর প্রদীপ হত্যা মামলার মূল আসামী আপন সেজ ভাই সোহাগ হাওলাদারকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত ১১ জুন ঢাকার উত্তরা থেকে কলাপাড়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সে একাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে সোহাগ জানিয়েছে। তবে গণমাধ্যমের সামনে আসামী সোহাগকে হাজির না করে তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

গত ৫ জুন দিবাগত রাত একটার পর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির পুকুর থেকে পুলিশ সাংবাদিক প্রদীপের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধারালো চাকু দিয়ে পেটের ডান পাশে ও ডান হাতে আঘাত করে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেয়। পুলিশ ওই রাতেই রক্তমাখা চাকুটি উদ্ধার করে। ওই রাত থেকেই পলাতক ছিলো সোহাগ।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীম জানান, গত ৫ জুন আমতলী বাজার থেকে ৮০ টাকা দিয়ে একটি চাকু ক্রয় করে বাড়িতে আসে। রাত আটটার দিকে প্রদীপকে বাড়ি থেকে ডেকে বাড়ির সামনে বসে কথা বলে। জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধ থাকায় তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সোহাগের কোমড়ে থাকা চাকু দিয়ে প্রদীপকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার রাতে সোহাগ প্রথমে বরিশাল গিয়ে একদিন অবস্থান করে। এরপর চাঁদপুর, কুমিল্লা হয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে। এ সূত্রধরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।

উল্লেখ, গত ৫ জুন রাতে প্রদীপ হত্যার পরদিন ( ৬ জুন) নিহতের স্ত্রী জিনিয়া আক্তার তার সেজ খাসুর সোহাগ হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। আবু জাফর প্রদীপ দৈনিক গনকন্ঠ পত্রিকার কলাপাড়া প্রতিনিধি ছাড়াও কলাপাড়া সাংবাদিক ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া সে বিভিন্ন ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলো।

শুধু মাত্র সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে সোহাগ একাই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে পুলিশ বিষয়টি জানালেও তার সাথে আরও কেউ আছে কিনা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখার দাবি করেন কলাপাড়ার গণমাধ্যমকর্মীরা।

(এমকে/এসপি/জুন ১৩, ২০২২)