কেন্দুয়া প্রতিনিধি : কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের বলাইশিমুল খেলার মাঠ রক্ষা করেই মাঠের একাংশে চলছে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ। ওই প্রকল্পে ২৩টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন, মাথাগুজার ঠাই। রোববার ১২ জুন বিকেলে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের নম্বর সংবলিত কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম। 

ওই মাঠ রক্ষার দাবীতে গত ২৮ মে মাঠ প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে গ্রামবাসী। ২৯মে উপজেলা প্রশাসক জনপ্রতিনিধি ও গ্রামের লোকদের সমন্বয়ে একটি সমঝোতা মিটিং হয়। উপজেলা প্রশাসন জানায় সেই সিদ্ধান্ত না মেনে, ৩০ মে গ্রামের কতিপয় লোক সহকারি জজ আদালতে ইউএনও সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে দেন।

মামলার পর দুস্কিৃতিকারীরা ০২ জুন ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্মানাধিন ৩টি ঘরের স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে। এতে উপসহকারি প্রকৌশলী বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার মল্লিক ও হায়দার আহমেদ তালুকদার গ্রেফতার হন। এদিকে শুনানী শেষে গত ০৬ জুন ইউএনও সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। ৯ জুন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মনির হোসেনের উপস্থিতিতে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে এক সমঝোতা বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসে মাঠ সংস্কার করে খেলাধুলাও হবে এবং আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজও চলবে। বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, ওই মাঠটির পরিমান ১ একর ৮৬ শতাংশ।

২৩টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য মাত্র ৪৬ শতাংশ ভূমি আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য নেয়া হচ্ছে। বাকি জায়গাতে মাঠ সংস্কার করে খেলাধুলা চলবে। তারা জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য মাঠে খেলাধুলার কোন ক্ষতি হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম জানান, ওই আশ্রয়ন প্রকল্পে ২৩টি পরিবার পাচ্ছেন মাথা গুজার ঠাই। প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতাংশ করে জমি এবং সেই জমিতে আধা পাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া পানিয় জলের সুবিধার জন্য ৪টি সাবমারজিবুল স্থাপন করে দেয়া হচ্ছে এবং প্রত্যেক ঘরে আলাদা আলাদা মিটার স্থাপন করে দেয়া হচ্ছে। আশ্রয়ন প্রকল্প ও মাঠে আসা যাওয়ার জন্য সংযোগকারী একটি রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে পাকা করন করা হচ্ছে।

সুবিধাভোগী পরিবারের সদস্য কালা মিয়া ও এরশাদ পাগলা জানান, আমাদের কোন ঘর বাড়ি ও জায়গা ছিলনা। সরকার আমাদের জায়গা দিয়েছে, ঘর করে দিচ্ছে। আমরা সকলের কাছেই সহযোগিতা চাই যেন এখানে সুন্দর ভাবে স্বপ্নের ঠিকানায় বসবাস করতে পারি।

(এসবি/এসপি/জুন ১৩, ২০২২)