নিউজ ডেস্ক : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের আকার ইঙ্গিতের পাশাপাশি মানসিক অবস্থারও পরিবর্তন হয়ে থাকে। মানুষের এই দীর্ঘ জীবনের একেক ধাপে চাহিদারও একেক ধরনের। চাওয়া পাওয়ায়ও থাকে ভিন্নতা। তাই বয়স ভেদে মানুষের অন্যান্য চাহিদার পাশাপাশি যৌন চাহিদায় বিরাট একটি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

বিশিষ্ট সেক্স বিশারদ ট্রেসি কক্স তার সর্বোচ্চ পরিমাণে বিক্রি হওয়া বই ‘সেক্সট্যাজি’তে বিভিন্ন বয়সে মানুষের যৌন চাহিদার ধরনের পার্থক্য তুলে ধরেছেন। বুধবার ভারত ভিত্তিক গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বয়স যখন ২০ এর কোঠায় : এ বয়সে নারী ও পুরুষ সকলেই সবসময় সেক্স নিয়ে চিন্তাভাবনা করে। এ বয়সে তরুণীরা সেক্স নিয়ে খুবই আগ্রহী হয়ে ওঠে। ২০০৬ সালে ২০০০ মানুষের উপর চালানো একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এর মধ্যে ৭৬ শতাংশ নারী জানিয়েছে, দুই জন মহিলা যখনই এক সঙ্গে রাত যাপনের সুযোগ পেয়েছে তখনই তারা সমকামিতায় লিপ্ত হয়েছে। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, একজন পুরুষের সঙ্গে পাশিপাশি শোবার কারনে তারা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। এই বয়সে প্রেমিক-প্রেমিকারা বিভিন্ন ক্লাবে যেয়ে নেচে গেয়ে মজা নিতে চায়।

বয়স যখন ৩০ এর কোঠায় : এ বয়সে অধিকাংশ নারী যৌনমিলনের স্বাদ গ্রহণ করে ফেলে। এ বয়সে অনেকেই সেমি-পাবলিক প্লেস তথা সমুদ্র সৈকত, পার্ক বা আশপাশের কোথাও অন্ধকারে যৌন তৃপ্তি নেয়ার চেষ্টা করে। অনেকেই গোসলের সময় সেক্সের আনন্দ গ্রহণ করতে চায়। ট্রেসি কক্স বলেছেন, এ সময়ে অনেক দম্পতির প্রথম বাচ্চা হয়। দেখা যায় স্ত্রী গর্ভবতী থাকাকালীন সময়ে অনেক দম্পতি মাসে চার-পাঁচবার যৌনমিলন মিলিত হয়। তবে সন্তান প্রসবের ছয়মাস পর তারা আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরে যায়।

বয়স যখন ৪০ এর উপরে : ৪০ এর উপরে পুরুষের যৌন ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। অন্যদিকে, নারীদের দেখা যায় তারা আরও বেশি যৌনমিলন করতে চায়। এ সময় অনেক নারী যুবক ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। সবমিলিয়ে দেখা যায় ৪০ এর পর নারী-পুরুষের যৌন ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে।

সেক্সুয়াল বিষয় নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়তে থাকে টিনেজ বয়স থেকেই। ২০ পরবর্তী সময়ে এটি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। ৩০ এর কোঠায়ও মানুষের যৌন চাহিদা স্বাভাবিক থাকে। তবে ৪০ এর পর যেয়ে তা নারী ও পুরুষ উভয়েরই কমতে থাকে।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০১, ২০১৪)