মদন প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি উপচে মদন পৌর সদরসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নে বয়াবহ বন্যার প্ররিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ধনু মগড়াসহ বিভিন্ন নদীর পানি হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে গুচ্ছ গ্রামসহ অসংখ্য ঘর বাড়ি, পুকুর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় মসজিদ, মন্দির ও গ্রামীণ কাঁচা পাকা সড়ক তুলিয়ে গেছে।

উপজেলা সদরের সাথে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক ও খামারিরা তাদের গভাদি পশু ধান, গোখাদ্য খর নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। নিচু এলাকার হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ঘর ফেলে জীবন বাঁচাতে নিরাপদ উচুঁ স্থানে আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন।

গেল বোরো মৌসুমে আগাম বন্যার পানিতে কৃষকরা কাঁচা আঁধা পাকা ধান কেটে অনেক ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে এ বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। প্রশাসন ভানবাসি মানুষের সেবায় ৪০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলে শুকনা খাবার, চাল ডাল, তেলসহ নগদ অর্থ বিতরণ করছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পানি বন্দি লোকজন আতংকে জীবন যাপন করছেন।

বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বালালী গ্রামের আজাহান,হিরা লাল,নন্দলাল, আব্দুল হক,খাদেম আলী বজলু মিয়া, বাঘমারার গ্রামের শাহানা,আলমগীর জানান, শুক্রবার বিকালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার হঠাৎ আমাদের বাড়ি ঘরে পানি উঠে যায়। আমরা জীবন বাঁচাতে এ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি। এখানে আমাদের মত প্রায় ৭০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার বহু লোক বাড়ি ঘর ছেড়ে অনেক জায়াগায় আশ্রয় নিয়েছে। আমরা গভাদি পশু নিয়ে বিপাকে আছি। গত কয়েক দিন আগে আগাম বন্যায় নিয়ে গেছে বোরো ধান,কোন মতে কাটছিলাম। এহন আবার বন্যা দেখা দেয়ায় আমরা কোথায় যাইয়াম ?

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, উপজেলার ৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৫শ পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়েছে। দিন দিন এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৩ হাজার পরিবার পানি বন্দি অবস্থায় আছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। ৯টি কন্টোলরুমের মাধ্যমে বন্যাতদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

(এম/এসপি/জুন ১৯, ২০২২)