মো. আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : সাম্প্রতিক কয়েকদিনে টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারনে সৃষ্ট বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, কুলাউড়া, রাজনগর, সদর ও জুড়ী উপজেলাসহ মোট ৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। ওইসব উপজেলার প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব উপজেলায় নারী-শিশুসহ প্রায় ৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে আটকা পড়েছে। এসব বানবাসী অসহায় মানুষকে উদ্বার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে কাজ করছে জেলা পুলিশ মৌলভীবাজারের কুইক রেসপন্স টিম।

সোমবার (২০ জুন) বিকালের দিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলার ৫টি উপজেলার বন্যা আক্রান্ত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আড়াই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এসবের পাশাপাশি রান্না করা খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে দুর্গত এলাকাগুলোতে। বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোর ভাপ্রোপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সর্বদা তৎপর রয়েছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো উল্লেখ করা হয়,প্রাকৃতিক দূর্যোগের সুযোগে কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহায়তা ও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে "বন্যা মনিটরিং সেল " চালু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, বন্যায় আক্রান্তরা সহায়তা চাইলে দ্রুত পুলিশের উদ্ধারকারী দল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় সাহায্য। তিনি বলেন,বন্যা পরিস্থিতির দিকে আমরা সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রাখছি এবং যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছি।

(একে/এএস/জুন ২০, ২০২২)