ইন্দ্রজিৎ কুমার সাহা, কালিয়াকৈর : কালিয়াকৈর উপজেলায় রয়েছে এলোয়া বিল, মকশ বিল, বগাবাড়ীর বিল, উকুনমারি বিল, শালিকমারা বিল, জোগারহাড়ি বিলসহ বেশকিছু বড়, বড় বিল।যা স্হানীয়ভাবে দেশীয় মাছের বড় যোগানদাতা।কিন্তু জেলেদের হাতে, হাতে এখন চায়না জাল।

নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার ভয়ঙ্কর চায়না জালের ফাঁদে দেশীয় প্রজাতির মাছ। সহজে বেশি বেশি মাছ ধরা পড়ায় নদ-নদী, খাল, বিল জুড়ে জেলেরা ব্যবহার করতে শুরু করেছে এই চায়না জাল। এতে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে নদ-নদী, খাল, বিল। এসব জলাধারে থাকা মিঠা পানির সব ধরনের দেশি মাছ সূক্ষ এই চায়না জালে ধরা পড়ছে। বিশেষ করে পানি বৃদ্ধির এই প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, কই, শিং, মাগুর, তেলাপিয়া, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকিসহ প্রাকৃতিক সব মাছ এই সর্বশেষ প্রযুক্তির চায়না জালে নিধন হচ্ছে।এটিকে জাল হিসেবে বর্ণনা করা হলেও মৎস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে চায়না দুয়ারী বা রিংজাল মূলত মাছ ধরার এক ধরণের ফাঁদ। এই জালের বুননে একটি গিট থেকে আরেকটি গিটের দূরত্ব খুব কম, যে কারণে এতে মাছ একবার ঢুকলে আর বের হতে পারে না। একে চায়না জাল, রিংজাল ম্যাজিক জাল এবং ঢলুক জাল নামেও ডাকা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বলেন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার্থে অচিরেই নিষিদ্ধ ঘোষিত এসব চায়না জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্হ্যা গ্রহন করা হবে।

(আইকেএস/এএস/জুন ২০, ২০২২)