রিপন মারমা, রাঙামাটি : কয়েকদিনের টানা বর্ষণে এবং পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানিতে কাচালং নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার দুর্গম বাঘাইছড়ি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) উপজেলার ২৬ টি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম।

সেসময় আরোও বলেন, পানি প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকায় এ মুহুর্তে ২৬' টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। উপজেলার সব স্কুলকে আমরা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছি। আমাদের বেশ কয়েকটি টীম মাঠে রয়েছে। প্রতিনিয়ত আমাদের টীম বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করছে। মাইকিং করে প্লাবিত এলাকার মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে কাপ্তাইয়ে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বেশ কিছু কিছু পাহাড় ধস হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আরও ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি পাহাড়ে পাদদেশ অবস্থান থাকার নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজনকে নিয়ে আসতে কাপ্তাই প্রশাসনের সহায়তায় কাজ চলছে।

স্থানীয়রা জানান, ভারী বর্ষণে ফলে বড় ধরনের পাহাড় ধসসম্ভাবনা রয়েছে অন্যদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পানি গুলো কাপ্তাই হ্রদের আসা কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ২৭ টি পরিবারের ১শত ৫০ জন'কে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসীর জাহান উপস্থিত থেকে প্রতিদিনের মত তাদের জন্য মুরগী বিরিয়ানি খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
সেসময় ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের মিতিঙ্গাছড়িতে অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

(আরএম/এসপি/জুন ২১, ২০২২)