ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধ। বেড়ি বাঁধের ভাঙ্গন ঠেকাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে পল্লী উন্নয়ন কর্মসুচি (আরইআরএমপি) মহিলা কর্মিরা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলো সংস্কারে কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে।

অবিরাম বর্ষণে তিস্তা নদীর তীরবর্তি এলাকায় নির্মিত ১৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধের ফাটল ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি বাঁধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন সময় বাঁধটি ধ্বসে গেলে বন্যার পানি লোকালে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে গোটা উপজেলায় বন্যা কবলিত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন বেড়ি বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বাঁধটিতে যে ভাবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে ছিড়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এদিকে স্থানীয় ভাবে বাঁধটি রক্ষার জন্য এলজিইডির (আরইআরএমপি) দুই শতাধিক মহিলা শ্রমিক দিয়ে গর্ত ও ফাটল গুলো সংস্কার অব্যাহত রেখেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু রায়হান জানান, সুন্দরগঞ্জ এলাকায় ১৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধের সৃষ্ট গর্ত ও ফাটল গুলো সংস্কারে এলজিইডি দ্রুত কাজ করছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী শামছুল আরেফীন জানান, তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত ১৬ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধের ফাটল গুলো সংস্কারে আমরা কাজ করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-মারুফ জানান, সুন্দরগঞ্জ এলাকা দিয়ে প্রবাহিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধটির কমপক্ষে ৫০ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে চুক্তি করে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কার অব্যাহৃত রেখেছি। আশা করছি ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব হবে।

(এসআইআর/এএস/জুন ২২, ২০২২)